ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেতু আছে সড়ক নেই, পারাপারে দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ২০:১৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০

সেতু আছে সড়ক নেই, পারাপারে দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৮ ডিসেম্বর ॥ চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আগসোয়াইল গ্রামের খাল পারাপারে সরকার সেতু নির্মাণ করলেও সাধারণ মানুষের কোন উপকারে আসছে না। ঠিকাদার সংযোগ সড়ক না করায় নবনির্মিত সেতুটি কোন কাজে আসছে না। বর্তমানে কয়েক গ্রামের মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে সেতু পার হতে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকিতে সেতু পার হতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই পা ফসকে খালে পড়ে আহতের ঘটনাও ঘটছে। অন্যদিকে নতুন সেতুতে যান চলাচল না করায় জনদুর্ভোগ দিন দিন প্রকট হচ্ছে। জানা যায়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ২০১৯-২০ অর্থবছরে হরিপুরের আগসোয়াইল-টলটলিয়া পাড়া রাস্তায় বড়াল নদীর বিলকুড়ুলিয়া সংযোগ খালের উপর ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ’ ৯২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ করে। গত জানুয়ারিতে সেতুটির নির্মাণ শুরু করে জুলাইতে শেষ করা হয়। তার পর সেতুর দু’পাশ ভরাট না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন চলে যায়। এ সেতুর উপর দিয়ে পূর্ব পাড়ের টলটলি পাড়া, পাঁচশোয়াইল, শ্রীধরপুর, ধুলাউড়ি, হরিপুর এবং পূর্ব পাশের পুরানপাড়া, শালমারা, দোলং, রামনগর এলাকার হাজার হাজার লোককে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। নবনির্মিত সেতুতে সংযোগ না থাকায় এলাকার যুবকেরা গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে সাঁকো নির্মাণ করেছে। এ সাঁকো দিয়েই জনসাধারণ এখন সেতু পার হচ্ছে। আর এ সাঁকো দিয়ে সেতু পার হতে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। গত এক সপ্তাহে আজিজুল ও মনিরা নামের দুই শিশু সাঁকো থেকে নিচের খালে পরে আহত হয়। অন্যদিকে এ সেতুতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তাই এ এলাকার দশ গ্রামের মানুষকে ভারি বোঝা মাথায় নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। সেতু পাড়ের বাসিন্দা জিন্নাত আলী জানান, সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় খাল পারাপারে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে কৃষকদের ভারি ফসলের বোঝা মাথায় নিয়ে সাঁকো হয়ে সেতু পারাপার খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি জানান। সেতুটির দৈর্ঘ্য কাগজে কলমে ৩৬ ফুট হলেও বাস্তবে তার চেয়ে অনেক কম রয়েছে। এখানে ঠিকাদারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমঝোতায় সেতুর দৈর্ঘ্য কমিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ও করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবিতে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিল আটকিয়ে দিয়েছি কাজ পুরোপুরি শেষ করার পরে বিল দেয়া হবে।
×