ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর নামে সড়ক

প্রকাশিত: ০০:১৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

মরিশাসে বঙ্গবন্ধুর নামে সড়ক

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মরিশাসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার প্রত্যয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের একটি সড়ক বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা একসঙ্গে চলার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে এবং দেশ দুটির মূল্যবোধ, আদর্শ ও লক্ষ্য অভিন্ন। দুটি দেশই তাদের জনগণের কল্যাণ ও আকাক্সক্ষাকে প্রাধান্য দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন দেই। আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর ইন্ডিয়ান ওশান রিম এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতা ও সমঝোতার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে কাজ করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বর্গীয় দ্বীপ মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইসের একটি সড়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে জানতে পেরে তিনি খুব খুশি হয়েছেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মরিশাস সরকার ও এর বন্ধুপ্রতিম জনগণ এবং যারা কোভিড-১৯ মহামারী উপেক্ষা করে সাহসিকতার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কাজটি করেছেন তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সড়কটি দুদেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রতীক। আর এটি হচ্ছে মরিশাসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের জন্য একটি অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’ এই শুভক্ষণে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ত্রিশ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ নারী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় লাভ করে।’ তিনি আরও বলেন, চলতি ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, সমগ্র জাতি এ বছর দেশে ও বিদেশে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে উদ্যাপন করছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার উদ্বোধন ॥ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বুধবার বাংলাদেশ হাইকমিশনে ‘বঙ্গবন্ধু সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয়েছে। মহান বিজয় দিবসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সেন্টার উদ্বোধন করা হয়। মিশন ভবনে বঙ্গবন্ধু সেন্টারটি মূলত গড়ে তোলা হয়েছে একটি লাইব্রেরিকে কেন্দ্র করে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত এ লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর জীবন, বিশেষ করে রাজনৈতিক সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, পর্যটনসহ নানা বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজীতে রচিত চার শতাধিক বই রয়েছে। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরের দেয়াল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, তার মহান সংগ্রামী জীবনের নানা অধ্যায়, পাকিস্তানের জেল থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন-দিল্লী হয়ে ঢাকা প্রত্যাবর্তন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ, ইন্দিরা গান্ধীসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাতকার প্রভৃতি বিষয়ের শতাধিক পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। দেয়ালের একাংশে আছে বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব বিষয়ে কিউবান লিডার ফিদেল কাস্ত্রোসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার মন্তব্য বাঁধাই করা ১২টি পোস্টার।
×