ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কখনও শীত আছে, কখনও নাই

শীতে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

শীতে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শীতের আবহাওয়ার ধরনও বদলাচ্ছে। প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে শীত ঋতু। কিন্তু পৌষে এসে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ শুরু হয়েছে। ডিসেম্বর জুড়েই এই অস্বাভাবিক আচরণ থাকতে পারে। কখনও তাপমাত্রা কমে একটু বেশি শীত আবার কখনও শীতের অনুভূতি কম। তবে জানুয়ারিতে শীতের অনূভূতি কিছুটা বেড়ে যাবে। জানুয়ারিতেও শীতের খামখেয়ালি আচরণ দেখা যাবে। আবহাওয়াবিদরা জানায়, আগামী দুদিনে তাপমাত্রা আরও একটু কমে শীত বাড়বে। কিন্তু বেশি কমবে না। এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও সারাদেশের ওপর প্রভাব পড়বে না। এটা সীমিত থাকবে মূলত দেশের উত্তরাঞ্চলের কিছু জেলার ওপর। এর বাইরে সারাদেশে এক সময়ে একই ধরনের শীতের অনুভূতি এই ডিসেম্বরে পাওয়া যাবে না। তারা জানায়, আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণে বেশ স্পষ্ট যে, এবারের শীত ঋতুতে অস্বাভাবিক আচরণ থাকবে। ফলে টানা ঋতুতেও একনাগাড়ে শীতের অনুভূতি পাওয়া যাবে না। তারা জানান, বিভিন্ন কারণে এবার বছরজুড়েই আবহাওয়া অস্বাভাবিক আচরণ করছে। তার প্রভাব এসে পড়েছে শীত ঋতুর ওপর। পৌষে এসে তাপমাত্রা কমে একদিন শীত অনুভূত হচ্ছে তো দ্বিতীয় দিনেই তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে শীতের আমেজ ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। শীতে এই অস্বাভাবিক আচরণের প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর। করোনাকালে করোনার উপসর্গ বাড়ছে এ কারণেই। আজ পৌষের দ্বিতীয় দিন। প্রথম দিনে হঠাৎই বইতে শুরু করে শীতল হাওয়া। তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়। বেড়ে যায় গরম কাপড়ের কদর। শীতবস্ত্রের দোকানে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একদিন পরেই আবার শীতের উল্টো আচরণ শুরু হয়েছে। শীতের এই অস্বাভাবিক আচরণ সম্পর্কে আবহাওয়া অধিদফতরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের কোথাও কোথাও মেঘ রয়েছে। আবার বাতাসের ধরন বদলাচ্ছে। কখনও উত্তর-পশ্চিম দিকে থেকে হিমেল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। আবার কখনও তা শুধু পশ্চিম কর্নার থেকে আসছে। দুই ধরনের বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতিতে বেশ তারতম্য দেখা দিচ্ছে। তারা জানায়, গত নবেম্বর মাসজুড়েই ছিল আবহাওয়ার অস্বাভাবিক আচরণ। বিশেষ করে নবেম্বরের শুরুতেই হঠাৎ আবহাওয়ার ধরন বদলে যায়। একদিনেই তাপমাত্রা কমে শীত নেমে আসে। মানুষ গরম কাপড় ব্যবহার করতে শুরু করে। কিন্তু তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কয়দিন যেতে না যেতে আবারও গরমের কাতরতা শুরু হয়। শীতের জন্য অপেক্ষা বাড়তে থাকে। কিন্তু নবেম্বর জুড়ে শীতের দেখা মেলেনি। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাগরে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়েছে। ফলে বারবার লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। সাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় কণা বাতাসে মিশে গেছে। যখনই অধিক পমিাণ জলীয় কণা বাতাসে বিদ্যমান থাকে তখন উত্তরের হিমেল হাওয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শীত দূরে সরে যায়। এবারে নবেম্বরে শীতের আগমনি হাওয়ায় সেটাই ঘটেছে।
×