ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যাজমা সচেতনতাই যথেষ্ট

প্রকাশিত: ২৩:৪৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

এ্যাজমা সচেতনতাই যথেষ্ট

এ্যাজমানামের সঙ্গে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। কেননা আমাদের ভিতর অনেকেরই অথবা আমাদের অনেক কাছের আত্মীয়ের কারও কারও রয়েছে এই রোগ। এ্যাজমা একটি রেস্পিরেটরি সিস্টেমের তথা শ্বাসতন্ত্র এবং ফুসফুস ও শ্বাস নালীজনিত সমস্যা। আর সাধারণত ছোট বেলাতেই ধরা পড়ে যায় এই রোগ, কিন্তু মাঝে মাঝে বেশ দেরিতেও ধরা পড়ে। রোগের উপসর্গ : কাশি (বিশেষ করে রাতে), শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, কফ হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, শারীরিক কর্মকাণ্ড করার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া- কিছুক্ষণ হেঁটে বা সিঁড়ি ভেঙ্গে শ্বাস কষ্ট শুরু হওয়া। যে কারণে হয় : সাধরণত শ্বাস নালীর ইনফ্লেমেশনের জন্য, শ্বাসনালীতে সিকরেশন বেড়ে যাওয়ার জন্য। যে কারণে এ্যাজমা বেড়ে যেতে পারে- এ্যালার্জেন (যার সংস্পর্শে এ্যালার্জি বেড়ে যায়) এর সংস্পর্শে আসা, অন্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে, শ্বাস নালীতে অন্য কোন রোগ কিংবা ইনফ্লেমেশনের জন্য, হঠাৎ শীতের সংস্পর্শে আসা কিংবা ঠাণ্ডা বাতাসের জন্য, কল কারখানা, গাড়ি নিঃসৃত গ্যাসের জন্য এ্যাজমাজনিত সমস্যা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের ভিতর থাকতে পারে, বিশেষ করে বাবা-মা এর থাকতে পারে, কারণ এটি একটি জেনেটিক্যালি ট্রান্সমিটেড (জেনেটিক ম্যাপের মাধ্যমে তথা বংশ পরম্পরায় যে রোগ ছড়ায়) রোগ। সে জন্য কারও ফ্যামিলিতে এ্যাজমা সমস্যা থাকলে অন্য সদস্যদের ও এ্যাজমার ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠা উচিত এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত! এ্যাজমা একটি ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদী রোগ, আর এ্যাজমা এর চিকিৎসা এটা থেকে মুক্তি দেয় না, বরং রোগকে নির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্য সীমার ভিতরে রাখে! এ্যাজমা রোগীর উচিত সবসময়ই এই ব্যাপারে খেয়াল রাখা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত এবং প্রযোজন মতো ওষুধ গ্রহণ করা! আর এ্যাজমা যে কোন সময় বড় ধরনের কোন সমস্যা নিয়ে ধরা দিতে পারে- হঠাৎ শ্বাস প্রশ্বাসে খুব সমস্যা হওয়া, কিংবা শ্বাস নিতেই না পারা- কিংবা লাংস (ফুসফুস) ফেইলরের মতো সমস্যা হতে পারে, তাই এ্যাজমার ব্যাপারে সকলকেই সচেতন থাকা উচিত! প্রধানত এন্টি ইনফ্লামেটিরি এবং ব্রঙ্কোডাইলেটরের মাধ্যমে এ্যাজমা এর অবস্থা বুঝে এর চিকিৎসা দেয়া হয়! ইনহেলার (সালবিউটামল) ব্যবহার করে সাময়িকভাবে এ্যাজমা থেকে মুক্তি মিলতে পারে কিন্তু যদি হঠাৎ করে খুব বেশি সমস্যা নিয়ে দেখা দেয়, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই হাসপাতালে নিতে হবে। অধ্যাপক ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র দাস হলিস্টিক হেলথ কেয়ার সেন্টার ৪৩আর/ ৫সি পশ্চিম পান্থপথ, ঢাকা মোবাইল:- ০১৭২১৮৬৮৬০৬, ০১৯২১৮৪৯৬৯৯
×