ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন আপোস নয়

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন আপোস নয়

হেফাজতে ইসলামীর অতিপ্রবীণ নেতা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর জামায়াতে ইসলামী জুনায়েদ বাবুনগরীর মাধ্যমে হেফাজতকে সম্পূর্ণ গিলে ফেলেছে। শফীর জমানায় কিছু রাখঢাক ছিল। যদিও আমরা ২০১৩ সালেই বলেছিলাম- হেফাজতের ১৩ দফার সব ক’টি জামায়াতে ইসলামীরই পুরনো দাবি। হেফাজতকে আত্মরক্ষার ঢাল হিসেবে তখন ব্যবহার করেছে জামায়াত ও বিএনপি। ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় মহাতাণ্ডবের পর সরকার এই জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিরুদ্ধে প্রথমে কিছুটা শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছিল। কারণ শাপলা চত্বরের মহাসন্ত্রাসের কারণ নিছক হেফাজতের ১৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য ছিল না। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল পরদিন সচিবালয় দখল করে সরকার উৎখাত করা। ৫ ও ৬ মে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জামায়াত-বিএনপির প্রত্যক্ষ মদদে হেফাজত যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল এরপর কঠোর অবস্থানে যাওযা ছাড়া সরকারের সামনে অন্য কোন পথ খোলা ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থার আগে থেকেই জানা ছিল। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় জুনায়েদ বাবুনগরী গড়গড় করে বলে দিয়েছিলেন কীভাবে জামায়াত-বিএনপিকে নিয়ে তারা সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিলেন। কথা ছিল বাবুনগরীকে জামায়াত-বিএনপি জোট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাবে। শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা দায়েরের পর সারাদেশে হেফাজতীরা গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনে, এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ কর্মকর্তা ও নেতারাও প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছিলেন- সরকার যখন জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে তখন হেফাজতকে ওদের খপ্পর থেকে বের করে আনতে হবে। সেক্যুলার ও সংখ্যালঘুদের ভোট তো আওয়ামী লীগের মৌরসিস্বত্ব! এর সঙ্গে যদি হেফাজতের ভোট যুক্ত হয় তাহলে চিরকালের জন্য গদিতে থাকা যাবে। আমি বহুবার লিখেছি- শেখ হাসিনা যদি আঙ্গুল কেটে নিজের রক্ত দিয়েও লিখে দেন তিনি বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া ও ব্লাসফেমি আইন চালু করবেন, সব কাজ হবে ওদের কুরআন সুন্না অনুযায়ী, তারপরও পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদীরা কখনও আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। কারণ একটাই, আওয়ামী লীগ পাকিস্তান ভাঙার জন্য দায়ী। প্রধানমন্ত্রীকে কারা কী বুঝিয়েছে জানি না, গণজাগরণের ব্লগার রাজীবকে হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বটে হেফাজত-জামায়াতকে আর ছাড় দেয়া যাবে না। এর কয়েকমাস পরই দেখলাম হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অকল্পনীয় হৃদ্যতা! হেফাজতকে টাকা দিয়ে, সরকারি জমি দিয়ে কিছু সময়ের জন্য যে পোষ মানানো গিয়েছিল এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে হেফাজত সাময়িকভাবে ফণা নামিয়েছিল কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি আদায় এবং পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘মালাউন’, ‘নাস্তিক’, ‘মুরতাদ’দের রচনা বাদ দেয়ার জন্য। কাজ হাসিলের পর ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে লেডি জাস্টিসিয়ার ভাস্কর্য সরাবার জন্য আবার যেই না তর্জন-গর্জন শুরু করেছে, সরকার সঙ্গে সঙ্গে এটি সবার দৃষ্টির আড়ালে সরিয়ে নিয়েছে। ভাস্কর্যের বিরোধিতা হেফাজতের নতুন বা মুখ্য বিষয় নয়। তখন হেফাজত নেতা বাবুনগরীর একটি বক্তব্য বিবিসি থেকে উদ্ধৃত করেছেন সাংবাদিক বোরহান বিশ্বাস। গত ৬ ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে তিনি লিখেছেন- ‘২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপন করা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে হেফাজত তাদের সমাবেশে হুমকি দিয়ে বলেছিল, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণ করা না হলে ‘শাপলা চত্বরের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হতে পারে। ওই সময় ঢাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের অন্যতম নেতা নূর হোসেন কাশেমী (হেফাজতের বর্তমান কমিটির মহাসচিব, বর্তমানে মরহুম) বক্তৃতা করেন। মহাসচিবের দায়িত্বে থাকা জুনায়েদ বাবুনগরী তখন বলেছিলেন, আমরা ভাস্কর্য এবং কোন সংস্কৃতির বিরোধী নই। বাংলাদেশের ঐতিহ্য বা ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে মিল রেখে ভাস্কর্যটি করা হলে আপত্তি ছিল না। কিন্তু এটি গ্রিক দেবীকে হায়ার করে এনে করা হয়েছে। সেজন্যই আমাদের আপত্তি। (তথ্যসূত্র : বিবিসি বাংলা)’ ২০১৭ সালে বাবুনগরী যদি বলে থাকেন ‘আমরা ভাস্কর্য বা কোন সংস্কৃতির বিরোধী নই’, তবে এখন কেন তারা বঙ্গবন্ধুর সব ভাস্কর্য অপসারণ এবং বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের হুমকি দিচ্ছেন? ওয়াজে ও জলসায় জামায়াত-হেফাজত-খেলাফত নেতাদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বাস করি না। আমাদের আবাস মোল্লা উমরের আফগানিস্তান কিংবা জিয়াউল হকের পাকিস্তান। নাকি আমরা আবুবকর বোগদাদীর আইএস-এর ইরাক-সিরিয়ার সীমান্তের কোন অঞ্চলে বাস করি, যেখানে ইচ্ছামতো ইসলামের দোহাই দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙা যায়? ’৭১-এ ইসলামের নামে গণহত্যাকারী ও নারী ধর্ষণকারীদের উত্তরসূরি জামায়াত-হেফাজত-খেলাফত গং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে মূর্তি আখ্যা দিয়ে করোনা মহামারীকালীন যাবতীয় নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন করে ধুপখোলার মাঠের বিশাল সমাবেশে যখন এগুলো ভেঙে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপের হুমকি দিয়েছে, তখন সরকার সম্ভবত অধিক শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল। পরদিন তরুণ উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এদের উদ্দেশে একটি কঠিন বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন বটে, সেটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হলেও (সম্ভবত গোয়েন্দা বিভাগের হস্তক্ষেপের কারণে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এর পরদিন ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র পক্ষ থেকে দেশের বরেণ্য নাগরিকদের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি অবশ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। কারণ সরকার তাৎক্ষণিকভাবে মৌনীবাবা হয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ক্ষুব্ধ নাগরিকরা চাইছিলেন এর বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ হওয়া প্রয়োজন। ১৫ নবেম্বর (২০২০) প্রদত্ত নির্মূল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল- ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করছি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা প্রদান এবং স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি। গত ১৩ নবেম্বর করোনাকালীন যাবতীয় বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে তারা যেভাবে গেণ্ডারিয়ার ধুপখোলার মাঠে সমাবেশ করেছে এবং যে ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বিষোদগার করেছে, তা রাষ্ট্রদ্রোহিতাতুল্য অপরাধ হলেও এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে সরকারি কিংবা সরকারদলীয় কোন প্রতিবাদ আমাদের নজরে পড়েনি। হেফাজত-জামায়াত-বিএনপির মদদপুষ্ট তথাকথিত ‘তৌহিদী জনতা ঐক্যপরিষদের’ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধানবিরোধী ধৃষ্টতাপূর্ণ উক্তির তীব্র নিন্দার পাশাপাশি আমরা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির এহেন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় অবস্থানের জন্য সরকারেরও নিন্দা করছি। মওদুদিবাদী, ওহাবিবাদী মোল্লাদের কেবলা পাকিস্তান ও সৌদি আরবসহ সকল মুসলিমপ্রধান দেশেই ভাস্কর্য আছে, যা নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ইতিহাসের মহানায়কদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের স্মারক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রাণকেন্দ্রে হিন্দু পৌরাণিক চরিত্রের ভাস্কর্য রয়েছে, যেগুলোকে পৌত্তলিকতা বা মূর্তি আখ্যায়িত করে অপসারণের ধৃষ্টতা কখনও সে দেশের কট্টরপন্থীরা প্রদর্শন করেনি। বাংলাদেশে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এবং কখনও প্রশ্রয়ের কারণে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরেধী এবং সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তাতে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’র ঘোষণা অচিরেই প্রহসনে পরিণত হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে- আমরা দেশ ও জাতির জন্য সমূহ বিপর্যয় আশঙ্কা করছি, যা আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হতে পারে। ‘করোনা মহামারীকালে যে কোন অজুহাতে আমরা সব রকম প্রকাশ্য জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে না তাদের শাস্তির উদ্যোগও প্রশাসনকে নিতে হবে। ‘আমরা আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর ’৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার জন্যই বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সহযোগীরা সাংবিধানিকভাবে ধর্মের নামে হত্যা, সন্ত্রাস ও হিংসা-বিদ্বেষের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন।’ এরপর নির্মূল কমিটির নেতারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী-ছাত্র-যুব-নারী-মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সন্তানদের ৬০টি সংগঠনকে নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চতুর্দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন করেছে। ইশতেহার ও ব্যানারে ৬০টি সংগঠনের নাম থাকলেও এই বিক্ষোভ সমাবেশে আরও ১০টি সংগঠন অংশগ্রহণ করেছিল, যাদের ভেতর আওয়ামী লীগের সকল অঙ্গ সংগঠনও ছিল। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার হুমকি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন হুঁশিয়ারি বাক্য উচ্চারণ করেছেন। এরপর আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বহু সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে। অবস্থা বেগতিক দেখে হেফাজত-খেলাফত নেতারা সুর পাল্টেছেন। এখন তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতার কথা বলছেন। তারা নাকি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা মানতেও রাজি আছেন- শুধু ‘মূর্তি’ বানানোর বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর নামে আল্লাহর মিনার নির্মাণের কথাও তারা বলছেন, যেমনটি বিমানবন্দরের সামনে করা হয়েছে বাউল ভাস্কর্য সরিয়ে। সরকারকে মনে রাখতে হবে এখানে ভাস্কর্য বা মূর্তি কোন বিষয় নয়। এ নিয়ে হেফাজতীদের বোঝাবার কিছুই নেই। ওয়াজের নামে গৃহযুদ্ধের হুমকি প্রদানকারী হেফাজত-খেলাফতীদের যাবতীয় মদদ দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। লন্ডনে তারেক রহমান কখন কোথায় আইএসআই-এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে হেফাজত-খেলাফতকে কীভাবে মাঠে নামিয়েছেন- গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে সে খবর গণমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে যে কোন পন্থায় ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে বাংলাদেশে মোল্লা উমরের আফগানিস্তান কিংবা জিয়াউল হকের পাকিস্তানের মতো ইসলামী হুকুমত চালু করা। বিজয়ের মাসে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী বা সরকারের কোন মন্ত্রী সবকিছু জেনেও যদি মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত শত্রুদের রাজনৈতিক-আদর্শিক ও সামরিক উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে কোন বৈঠক বা সমঝোতা করেন তবে সেটি শুধু সরকারের জন্যই আত্মঘাতী হবে না, ৩০ লাখ শহীদ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মদানের প্রতিও হবে চরম অপমান। ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
×