ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে চড়া দামে সার বিক্রি ॥ বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: ২২:২৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

টাঙ্গাইলে চড়া দামে সার বিক্রি ॥ বিপাকে কৃষক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৩ ডিসেম্বর ॥ টাঙ্গাইলের বাজারে আট শ’ টাকা মূল্যের ডাই এ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) সারের বস্তা ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা ও ১১শ’ টাকার ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার বিক্রি করছেন ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। তবে কৃষক সারের রসিদ চাইলে ডিলারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে না কোন রসিদ। রসিদ দিলেও তাতে সরকার নির্ধারিত দাম ৮০০ ও ১১০০ টাকা উল্লেখ করা হয়। সরকারী নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছে ডিলাররা। কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতর থেকে জানিয়েছে, চড়া দামে সার বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানে না তারা। সুনির্দিষ্ট ডিলারের নাম বললে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আহসানুল বাশার। জানা যায়, গত প্রায় দুই মাস ধরেই বাজারে ডিএপি সারের দাম বাড়ছে। প্রতি বস্তা ডিএপি সারের মূল্য সরকার নির্ধারণ করেছে আট শ’ টাকা। জেলা পর্যায়ের ডিলার ৭৫০ টাকায় এই সার সাব ডিলারদের কাছে বিতরণ করবে। কিন্তু টাঙ্গাইল জেলার ডিলাররা এ নীতিমালা না মেনে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। আর সাব ডিলাররা সে সার বিক্রি করছেন ১১০০ টাকায়। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব ডিলাররা বর্ধিত দামে সার বিক্রি করলেও নেয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। অথচ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নির্ধারিত সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডিলারদের নন ইউরিয়া সার যাতে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হয় সেজন্য সতর্ক করে চিঠি দিয়েছেন। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অবাধে ও বর্ধিত দামে সার বিক্রি হচ্ছে। সদর উপজেলার লাউজানা গ্রামের কৃষক হালিম মিয়া বলেন, এ বছর সরিষা চাষের জন্য ডিএপির এক বস্তা সার ১৫৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এছাড়াও টিএসপির এক বস্তার সার ১৪০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
×