ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমজাদ হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

আমজাদ হোসেনের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সৃজনশীল নানান কর্মের মধ্যে কাটিয়েছেন সারা জীবন। বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার। দুর্দান্ত অভিনেতা। তুখোড় কথাসাহিত্যিক। শ্রেষ্ঠ গীতিকার। জনপ্রিয় নাট্যকারসহ অনেক পরিচয়ের সিলমোহর তার ললাটে। তিনি সবার প্রিয় আমজাদ হোসেন। জহির রায়হানের বিখ্যাত ‘জীবন থেকে নেয়া’র কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার তিনি। ধারাপাত, বেহুলার চিত্রনাট্য রচয়িতা। স্বাধীনতার পরে নিজে স্বউদ্যোগে চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। স্বনামধন্য এই শিল্পীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। ২০১৮ সালের এই দিনে বহুগুণী এ মানুষটি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে অবশেষে পাড়ি জমিয়েছেন না-ফেরার দেশে। তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল জানান, আমজাদ হোসেনকে স্মরণ করে তার নিজ জন্মস্থান জামালপুরে এক শোক র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। আমজাদ হোসেন চর্চা কেন্দ্র, জামালপুরের উদীচী, খেলাঘরসহ ৭০টি সংগঠনের অংশগ্রহণে এ শোক র্যালিটি সকাল ১১ টায় তামালতলা মোড় থেকে শুরু হয়ে আমজাদ হোসেন শায়িত পৌর কবরস্থানে গিয়ে শেষ হবে। এ সময় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। দিনব্যাপী কোরানখানি ও বাদ আছর মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে। সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে আমজাদ হোসেন স্মরণসভা। তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করবেন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও ঘনিষ্ঠজন। এছাড়াও এদিন আমজাদ হোসেনের সারা জীবনের কর্মস্থল এফডিসিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে আমজাদ হোসেন স্মরণ সভা, মিলাদ মাহফিল ও তবারক বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ দিয়ে ছবির জগতে আমজাদ হোসেনের যাত্রা শুরু। এক ছবিতেই বাজিমাত। চলচ্চিত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ১৯৯৩ সালে একুশে পদক পান। তার পরিচালিত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ছবিটি ৪ দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বাধিক শাখায় (৯টি) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের রেকর্ড ধরে রেখেছিল। এরপর ‘ভাত দে’ ছবিটি ৯ শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। ছয়টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন আমজাদ হোসেন।
×