ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে ফাতেমা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

প্রকাশিত: ২১:১৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

আড়াইহাজারে ফাতেমা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে ফাতেমা বেগম (২৪) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ফাতেমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। ক্লুলেস ফাতেমা হত্যার প্রধান আসামি ইউনুস আলীকে (২৫) সিলেটের জৈন্তাপুর বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি হত্যার বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেছে। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জ অফিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। পুলিশ সুপার জানান, নিহত ফাতেমা বেগম ও ইউনুস আলী আড়াইহাজারের গোপালদী মানিকনগর এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করত। মালয়েশিয়া ফেরত ইউনুস আলীর সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত ফাতেমা বেগমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে গড়ায়। এরই মধ্যে ইউনুস আলী পুরাতন বাড়ি ফাঁকা পেয়ে অবাধে দেখা সাক্ষাত ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে দুজনে। এরই মধ্যে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে ফাতেমা বেগম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে ফাতেমা বিয়ের জন্য ইউনুস আলীকে চাপ দিতে থাকে। এদিকে মালয়েশিয়া ফেরত ইউনুস আলী পরিবারের মধ্য জানাজানি হলে তাকে অন্যত্র বিয়ে করানোর জন্য পাত্রী দেখছিল। ইউনুস আলী কোনভাবেই যাতে ওই ফাতেমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে না পারে সেজন্য নজরও রাখছিল তার পরিবার। একদিকে বাবা মায়ের চাপ অন্যদিকে বিয়ের জন্য ফাতেমার চাপ থেকে বাঁচতেই ইউনুস আলী পরিকল্পনা করে ফাতেমাকে মেরে ফেলার। গত ১০ আগস্ট ইউনুস আলী পরিকল্পনা অনুযায়ী ফাতেমা বেগমকে মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে আনে। সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে সন্ধ্যায় ইউনুসের নতুন বাড়ির পেছনে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে ফাতেমাকে সে ওই খানে রেখে বাসায় চলে যায়। রাত দশটার দিকে ইউনুসের পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে সে আবার ওই জঙ্গলে আসে ফাতেমার সঙ্গে দেখা করার জন্য। ওই সময় সে আবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।
×