ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

প্রকাশিত: ২১:১২, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ আজ ১৩ ডিসেম্বর। নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের এই দিনে ছয় নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী জেলা সদরকে হানাদার মুক্ত করে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালী নীলফামারী মহকুমার অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পাক সেনারা। পাক সেনাদের বর্বরতায় অতীষ্ট হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নীলফামারীর ছাত্র-জনতা ও অগণিত সাধারণ মানুষ ঐক্যবন্ধ হয়ে সংগ্রাম শুরু করেন। মিটিং-মিছিল আর সভা-সমাবেশ থেকে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রথমে মহকুমা শহরে রক্ষিত অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ট্রেনিং শুরু করেন মুক্তিকামী মানুষ। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা পাশর্^বর্তী ভারতে গিয়ে সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে ৬ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে পাক সেনাদের বিভিন্ন ক্যা¤েপ গেরিলা আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ১২ ডিসেম্বর রাতে পাক-হানাদার বাহিনী নীলফামারী শহর ছেড়ে সৈয়দপুর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়। ১৩ ডিসেম্বর শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা-জনতার বিজয় উল্লাস। মির্জাপুর নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, আজ ১৩ ডিসেম্বর মির্জাপুর মুক্ত দিবস। ৭১’র এই দিনটিতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুর হানাদার মুক্ত করে। ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনে মির্জাপুরের মুক্তিকামী মানুষ উজ্জীবিত হতে থাকে। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীর ওপর নৃশংস ও বর্বর হামলা চালায় । ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এ এলাকার যুব সমাজ সংঘটিত হতে শুরু করে। নবেম্বরে মুক্তিযোদ্ধারা মির্জাপুরকে পাকবাহিনী মুক্ত করলেও কয়েক দিনের মধ্যেই আবার পুনরায় দখল করে। এরপর কাদেরিয়া বাহিনীর ১৩ ডিসেম্বর প্রাণপণ যুদ্ধ করে মির্জাপুরকে পাকবাহিনীর দখল মুক্ত করে।
×