ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খিলক্ষেতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

প্রকাশিত: ২৩:১২, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

খিলক্ষেতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলক্ষেতের তিন শ’ ফিট এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আজমিন খান লামী (২৯) ও তার আত্মীয় আমির হোসেন রিয়াজ (১৮)। দু’জনই দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় থাকতেন। আমির হোসেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম আক্তার হোসেন। আজমিন খান চাকরির পাশাপাশি পাঠাওয়ের চালক ছিলেন। তার বাবার নাম মিজানুর রহমান। আমিরের ভাই অভি জানান, শুক্রবার সকালে তিন শ’ ফিট সড়কে গিয়েছিলেন দুজন। তিন শ’ ফিট এলাকায় সড়কে ইউটার্ন নেয়ার সময় একটি কাভার্ড ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে এতে গুরুতর আহত হন তারা। পরে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান, দুজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। সিটি সেন্টার থেকে লাফিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ॥ মতিঝিল সিটি সেন্টার ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করা যুবকের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম জীবন হোসেন (২১)। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কাগজীপাড়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে যুবকের মরদেহ শনাক্ত করে তার স্বজনরা। মৃত জীবনের ভগ্নিপতি মোঃ জামাল দেওয়ান জানান, গ্রামের বাড়িতেই থাকত জীবন, কিছুই করত না। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সে বাড়ি থেকে ঢাকায় আসে। তবে ঢাকায় কোথায় কার কাছে আসে তা জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পুলিশ তার মুঠোফোন থেকে আমাদের তার মৃত্যুর খবর জানায়। কেন বা কি কারণে জীবন সিটি সেন্টারে গেছে তা জানা যায়নি। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে সিটি সেন্টারের সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার জানান, ধারণা করা হচ্ছে সিটি সেন্টার ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে সে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
×