ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরবরাহ বাড়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

সরবরাহ বাড়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিত্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় শীতের সবজির দাম আরও কমেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, লাউ ও শিমের মতো সবজি পাওয়া যাচ্ছে কম দামে। ভোক্তারা বাজারে গিয়ে সহনীয় দামে ব্যাগভর্তি কিনে আনছেন শীতকালীন সবজি। তবে বাজারে আরেক দফা বেড়েছে সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম। দাম কমার তালিকায় আরও আছে পেঁয়াজ, ডিম, আদা ও আটার দাম। চাল, ব্রয়লার মুরগি ও রসুনের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল ও চিনির দাম। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফকিরাপুল বাজার, মুগদা বড় বাজার, খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এবং মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। দেশী নতুন উঠা পাতা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীর বাজারে। এর পাশাপাশি আমদানিকৃত মিসর, তুরস্ক, চীন ও নেদারল্যান্ডসের পেঁয়াজ বাজারে রয়েছে। টিসিবি ট্রাকসেলে ৫ টাকা কমিয়ে এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে মাত্র ২৫ টাকায়। ফলে বাজারে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। টিসিবির ট্রাকগুলো পেঁয়াজ ভর্তি করে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রাখলেও ক্রেতার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এখন খুচরা বাজারেও পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। প্রতিকেজি দেশী পুরনো পেঁয়াজ ৫০-৫৫, পেঁয়াজ আমদানি ২০-৩৫ এবং পাতা পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে চলতি সপ্তায় ৫-১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে সবজির। প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২০-৩০, লাউ প্রতিপিস ৩০-৪০, শিম প্রতিকেজি ৩০-৪০, প্রতি এককেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়, শালগম ৩০-৩৫ টাকায়, গাজর ৪০-৫০ টাকায়, বেগুন ৪০-৮০ টাকায়, করলা ৪০-৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমেছে নতুন আলুর। কেজিতে ১০ টাকা কমে নতুন আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, কাঁচা মরিচ ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় নিত্যপণ্যের বাজারে সবজির দাম কমছে। এখন প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সবজিবাহী ট্রাক রাজধানীতে ঢুকছে। এ কারণে সবজির সরবরাহ যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশি। ফকিরাপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা রাশেদ জনকণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজারে সবজির দাম আগের তুলনায় অর্ধেক হয়ে গেছে। আর এ কারণে খুচরায় দাম কমেছে। ক্রেতারা এখন কমদামে কিনতে পারছেন। সবজির দাম কমলেও চালের দাম একটু বেশি। আটাশ চাল ৫০-৫৩ টাকায়, পায়জাম ৪৭-৪৮ টাকায়, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৮-৬০ টাকায়, নাজির ৬০-৬২ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০-৯৫ টাকায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা ভোজ্যতেল বোতল লিটারে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৫২০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া প্রতিকেজি আদা ৮০-১০০, রসুন ৮০-১০০, মুরগি ব্রয়লার ১২০-১২৫, এছাড়া দেশী মুরগি প্রতিপিস ৪০০-৫০০ এবং পাতি হাঁস ৫০০-৬০০ টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে। দাম কমে ডিমের হালি ২৮-৩০, আটা প্যাকেট ৩০-৩৫, চিনি ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়, বকরির মাংস ৭২০-৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৮০ টাকায়। এছাড়া নদ-নদী ও খালবিলের পানি কমায় দেশী জাতের মাছের সরবরাহ বেড়েছে। সাগর ও নদীতে পাওয়া যাচ্ছে ইলিশ মাছ। দেশী মাছের পাশাপাশি বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশের সরবরাহ রয়েছে।
×