ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের বোরিং উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের বোরিং উদ্বোধন আজ

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ পদ্মা সেতুর পাশাপাশি স্বপ্নের আরেক মেগা প্রকল্প চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন হচ্ছে আজ। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৬১ শতাংশ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম টিউবের মাধ্যমে ওয়ানওয়ে কানেক্ট হয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পয়েন্ট। প্রকল্পের পিডি (প্রজেক্ট ডাইরেক্টর) প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ চৌধুরী শুক্রবার জনকণ্ঠকে জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বরকে টার্গেটে রেখে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত প্রথম টিউবের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর চারমাস সময় লেগে গেছে দ্বিতীয় টিউবের কাজ শুরু করতে। যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব আজ চট্টগ্রামে উদ্বোধনস্থলে থাকবেন। আর ঢাকা থেকে সকাল ১১টায় ভার্চুয়ালি এ কাজের উদ্বোধন করবেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পিডি আরও জানান, ৯৪ মিটার দীর্ঘ টানেল বোরিং মেশিনটি (টিবিএম) ইতোমধ্যে আনোয়ারা পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে এটি আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গামুখী হয়ে এগিয়ে আসবে। অর্থাৎ ইউটার্ন হয়ে এগিয়ে আসবে। এর আগে পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড় অর্থাৎ আনোয়ারা পয়েন্ট পর্যন্ত ৪৫০ মিটারের প্রথম টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে গত আগস্ট মাসে। উল্লেখ করা যেতে পারে, চীনের সাংহাই শহরের ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ আদলে এ টিউব একটি সেতুবন্ধন রচনা করবে কর্ণফুলী নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পাড়কে। নগর পরিকল্পনাবিদদের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, এতে দক্ষিণ চট্টগ্রাম মহানগরীর কানেক্টিভিটিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। প্রসঙ্গত, চারলেন বিশিষ্ট দুই টিউব সম্বলিত ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ এগিয়ে চলেছে। পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত এক টিউব টানেলের ২ হাজার ৪৫০ মিটার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় টিউবের বোরিংয়ের উদ্বোধন হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তাবিত টানেলটির দুই পাশের সড়কসহ মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। আর নদীর তলদেশ দিয়ে টানেলের যে প্রধান অংশ যাচ্ছে এর দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ের এ প্রকল্পে চীনের এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। বাকি অর্থ দেবে বাংলাদেশ সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টিউবের বোরিং উদ্বোধন করেন। টানেলের জন্য সেগমেন্ট তৈরি হচ্ছে চীনের জিয়াংশু প্রদেশের জিং জিয়াং শহরে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে এ সেগমেন্ট নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের প্রকল্প এলাকায়। এখানে আরও উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু টানেল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে এটিই প্রথম টানেল।
×