ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিনেমা হল বাঁচাতে ‘বিশ্বসুন্দরী’

প্রকাশিত: ০১:৩৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

সিনেমা হল বাঁচাতে ‘বিশ্বসুন্দরী’

নতুন স্বাভাবিক অবস্থায় দীর্ঘ সাত মাস পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে গেল ১৬ অক্টোবর খুলেছে দেশের প্রেক্ষাগৃহ। করোনাভাইরাসের কারণে এবারই প্রথম দুই ঈদ ছিল সিনেমা শূন্য। যা আমাদের সিনেমার জন্য বিরল রেকর্ড। পুনরায় সিনেমা হল খোলার প্রথম দিনে মুক্তি পায় নিম্নমানেরএকটি সিনেমা। যে কারণে ছবিটি দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়। এরপর সিনেপ্লেক্সের সব কয়টি শাখায় মুক্তি পায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ নামের আর একটি ছবি। যদিও দর্শকের এই সিনেমা নিয়ে ছিল শীতল প্রতিক্রয়া। যদিও ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ভাল গল্পের সিনেমা ছিল। তবে সিনেমা হলে মুক্তি না পাওয়ার কারণে ছবিটির ব্যাপারে অবগত ছিলেন না দর্শকরা। মাঝে লম্বা বিরতি। এতদিন সিনেমা সঙ্কটে ছিল হল মালিকরা। অনেকে লোকশানের কারণে সিনেমা হল বন্ধ করে দেয়ারও কথা ভাবছেন। এমন অবস্থায় স্বস্তির বাতাস দেয় বহু প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘বিশ্বসুন্দরী’। সিনেমা ‘হল বাঁচাতে’ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে সিয়াম-পরীমনি অভিনীত নাট্যনির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বিশ্বসুন্দরী’। এর কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। এতে আরও অভিনয় করেছেন আলমগীর, চম্পা, ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আনন্দ খালেদ, হীরা, সুজন, সীমান্তসহ অনেকে। করোনাকালে ছবিটি নিয়ে আশাবাদী চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ। তিনি আনন্দকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘ দিন পর হল বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। দর্শকের উচিত ছবিটি গ্রহণ করা। নির্মাতার প্রথম ছবি হিসেবে তিনি সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছেন। এটি ভাল গল্পের একটি ছবি। প্রথম ছবি হিসেবে পরীমনির সঙ্গে রসায়নও ছিল দৃষ্টিনন্দন। করোনাকালে মুক্তি পেলেও তিনি ছবিটি নিয়ে কোন শঙ্কা দেখছেন না। তিনি বিশ্বাস করেন দর্শক ছবিটি দেখতে হলে আসবেন। বছর শেষে সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জমা দেয়ার জন্য তড়িঘড়ি করে সিনেমা মুক্তির হিড়িক লেগেছে। তবে এমন কথায় বিশ্বাসী নয় ছবিটির পরিচালক। তিনি বলেন, দর্শকের কথা বিবেচনা করে ও সিনেমা হল বাঁচাতেই আমরা ছবিটির মুক্তির পরিকল্পনা করি অন্য কারণ নেই। আমরা আশাবাদী করোনাকালে বিনোদনহীন খরা কাটিয়ে দর্শক ফের হলমুখী হবে। প্রথম চলচ্চিত্র দেখে আশা করছি দর্শক নিরাশ হবে না। ছবিটির ট্রেলার অবমুক্তির পর অনেকেই বলছেন এটি টেলিফিল্ম হয়েছে সিনেমা হয়নি। আবার কেউ কেউ কালার কারেকশন নিয়েও অভিযোগ করেছেন। এসব কথা মাথায় নিয়েই ২৫টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহে উঠতে যাচ্ছে সিনেমাটি। ছবি সংশ্লিষ্ট সবাই সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী। দীর্ঘ দিন বিনোদন খরা কাটিয়ে ছবিটি কি পারবে দর্শককে হলমুখী করতে নাকি ব্যর্থতা নিয়ে হল থেকে নেমে যাবে তা সময়ই বলে দেবে। আনন্দকণ্ঠ প্রতিবেদক
×