জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ব্রিটেন ও বাহরাইনে অনুমোদন পাওয়ার পর এবার ভারতে নিজেদের তৈরি কোভিড টিকা বিক্রির অনুমোদন চেয়েছে ফাইজার ইন্ডিয়া। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের (ডিজিসিআই) কাছে এ আবেদন করা হয়েছে। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। খবর হিন্দুস্তান টাইমস, বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের।
বিশ্বজুড়ে রবিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩৯ জন। মারা গেছে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জনের। সুস্থ হয়েছে ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৭৯ জন। এখনও চিকিৎসাধীন আছে এক কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার ২৭৮ জন। যাদের মধ্যে এক লাখ ৫ হাজার ৯৯১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৬ লাখ ২৬ হাজার ৩৮৫ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। একদিনে মারা গেছে ১০ হাজার ১৮৬ জন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের নতুন ওষুধ ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল আইন অনুযায়ী ভারতে তাদের কোভিড টিকা আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রির অনুমোদন চেয়ে গত ৪ ডিসেম্বর আবেদন জানিয়েছে ফাইজার। গত বুধবার ফাইজার ও বায়োএনটেক সংস্থার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড ভ্যাকসিন জরুরী অবস্থায় বিক্রির উদ্দেশে সাময়িক অনুমোদন দেয় ব্রিটেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৯৫ শতাংশ সাফল্যের দাবিদার এই টিকাকে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ ঘোষণা করে ব্রিটেনের মেডিসিনস এ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি। এরপর গত শুক্রবার ফাইজারের দুই ডোজের কোভিড টিকা বিক্রির অনুমতি দেয় বাহরাইন। যুক্তরাষ্ট্রেও টিকা বিক্রির অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ফাইজার। ফাইজারের তৈরি কোভিড টিকা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ভারতের ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলে তার ব্যবস্থা কতটা করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশটির চিকিৎসক ও প্রশাসনিক মহলে। ফাইজারের পক্ষে অবশ্য বলা হয়েছে, এই মহামারী পরিস্থিতিতে শুধু সরকারী চুক্তি মোতাবেক, সরকারী নির্দেশিকা মেনে প্রশাসনিক পরিকাঠামোর মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহে আগ্রহী ফাইজার। বর্তমানে ভারতে মোট পাঁচটি কোভিড টিকার ট্রায়াল চলেছে। এরমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার ট্রায়াল পরিচালনা করছে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে দেশীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেক সংস্থার ভ্যাক্সিনের। জাইডাস ক্যাডিলা সংস্থার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
