ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কমলাপুর স্টেশনে রেলমন্ত্রী

রেলকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

রেলকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাত্রীসেবা বৃদ্ধি করে ও নানা প্রকল্প গ্রহণ করে তার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলওয়েকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। একইসঙ্গে যাত্রীসেবা বৃদ্ধি করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মন্ত্রণালয়ের দেয়া সকল নির্দেশনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রেলসেবা সপ্তাহ পালনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২০’ পালন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রবিবার এ উপলক্ষে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর পরিদর্শনে করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। একইসঙ্গে যাত্রীদের ফুল ও শিশুদের চকোলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামানসহ বিভাগীয় রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একতা ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মন্ত্রী বলেন, সেবা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবা আরও বৃদ্ধি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত সিডিউল বিপর্যয় রক্ষা করা সম্ভব নয়। এ সময় তিনি বলেন, রেলওয়ের মূল উন্নয়ন শুরু হয়েছে ২০১১ সালে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেল খাতের উন্নয়নে আন্তরিক হওয়ায় এখন নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে এবং রেলকে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ সময় মন্ত্রী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে রেলওয়ের গৃহীত কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ৪ ডিসেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকীতে ‘রেলসেবা ও নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২০’ উদ্যাপন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া সেবা ও নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৭টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১১টি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নির্ধারিত উদ্বোধনী স্টেশন (ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, সান্তাহার, ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট) হতে সংশ্লিষ্ট সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। রেলপথ মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সেবা সপ্তাহে কোভিড-১৯ সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিতকরণ, রেলওয়ের হাসপাতাল সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করা, রেলওয়ে স্টেশন ও স্টেশন অঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এছাড়া ট্রেনসমূহের সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করা, যাত্রীদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা, স্টেশনের ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা আপডেট রাখা, প্লাটফরম, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, ওয়েটিং রুম, রিটায়ারিং রুম ও টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ট্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, যাত্রী অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, সম্মানিত যাত্রীদের প্রতি সৌজন্যমূলক আচরণ প্রদর্শন, স্টেশনে প্রতারক, টিকেট কালোবাজারি ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত প্রবেশ প্রতিহত করা, স্টেশন ও ট্রেনে রক্ষিত ফাস্ট এইড বক্স সংরক্ষণ, প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা, ভেন্ডিং শপ ও ক্যাটারিং সার্ভিসে বিক্রিত খাদ্যের মূল্য ও মান বজায় রাখা, যাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষায় রেলওয়ে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি লাভ, মহিলা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও শিশু যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য চলাচলসহ সিঁড়ি, হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য নির্দেশনা রেলসেবা সপ্তাহে নিশ্চিত করবেন।
×