ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশ পাহারায় জবির গুচ্ছ ভাস্কর্য ও ম্যুরাল

প্রকাশিত: ২১:৫০, ৭ ডিসেম্বর ২০২০

পুলিশ পাহারায় জবির গুচ্ছ ভাস্কর্য ও ম্যুরাল

জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জাতির পিতার ম্যুরাল ও ‘৭১ -এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি’ শীর্ষক দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, শনিবার কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাংচুর চালায়। এমন ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং প্রধান ফটক থেকে একটু ভেতরে এগোলেই শান্ত চত্বরের পাশে চোখ পড়ে ‘৭১ এর গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি’ নামক গুচ্ছ ভাস্কর্য পুলিশের উপস্থিতি। জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ঘটনার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নড়েচরে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরালে হামলা ঠেকাতে মাঠে নামে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে জবির ভাস্কর্য ও ম্যুরালে পুলিশের নিরাপত্তা প্রহরা বসে। কোতোয়ালি থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, ভাস্কর্য বিরোধিতা নিয়ে যাতে নিরাপত্তার কোন বিঘ্ন না ঘটে ও যে কোন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহতে তৎপর রয়েছেন তারা। উল্লেখ্য, তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ভেতরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে হত্যা করা হয় অনেক মানুষকে। আর হত্যার পর লাশগুলোকে একের পর এক স্তূপ করে সাজিয়ে গণকবর দেয়া হয়। সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মারক হিসেবে গণকবরের ঠিক ওপরে এ ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। ভাস্কর্যটি নির্মাণে প্রধান ভাস্কর হিসেবে ছিলেন ভাস্কর রাসা। ভাস্কর্যটির এক অংশে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে’ এরই প্রতিফলন। তাই দা, বঁটি, খুন্তি, কোচ, বর্শা, সড়কি ও বল্লম সবকিছু নিয়ে যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে তারা। পরের অংশে সবাই আধুনিক অস্ত্র নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। যুদ্ধে নামার পরে যখন যোদ্ধারা বুঝতে পারেন স্রেফ দেশীয় অস্ত্র সম্বল করে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানীদের সঙ্গে পেরে ওঠা সম্ভব নয়, তখন সবাই প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করেন।
×