ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের তিক্ততা কাটছে

প্রকাশিত: ০০:২৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের তিক্ততা কাটছে

আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের তিক্ত বিরোধের অবসান হতে চলেছে। দেশটির সঙ্গে সৌদি আরবসহ আরব অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ প্রায় তিন বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। আকাশপথ, জলপথ ও স্থলপথে অবরোধ আরোপ করা হয়। দৃশ্যত, সেই অবস্থার অবসান হতে চলেছে। বিভিন্ন সূত্র মতে, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তারা সবাই সমস্যা সমাধানে রাজি হয়েছেন। এখন শুধু এ নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের অপেক্ষা। তবেই কাতার আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। খবর আলজাজিরা অনলাইনের। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারের সৌদি আরব ও কাতারে ঝটিকা সফরের পর দৃশ্যপট দ্রুত পাল্টাতে শুরু করে। বলা হয়, কাতার সঙ্কটের সমাধান করার মিশন নিয়ে কুশনার এই সফরে এসেছিলেন। এরপর কাতারের সঙ্গে বিরোধ বন্ধে অগ্রগতির ঘোষণা দেয় কুয়েত। এরপর শুক্রবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দেন, কাতারের সঙ্গে বিরোধের অবসান দ্রুতই হতে চলেছে। উল্লেখ্য, ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ উপসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছিল কাতারকে বিচ্ছিন্ন রাখার মাধ্যমে। এতে বলা হয়, সৌদি আরব, সংযুুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর যখন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের সঙ্গে সব রকম ব্যবসা, সফর বাতিল করে তখন থেকেই এই সঙ্কট সমাধানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েত। তারই অংশ হিসেবে বুধবার দোহায় আলোচনায় বসেন কুশনার। সৌদি নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন। এরপর ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে রোমে এক কনফারেন্সে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদ বলেন, কুয়েতের অব্যাহত তৎপরতার অংশ হিসেবে গত কয়েক দিনে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। এতে সমর্থন থাকার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আমরা আশা করি, এর ফলে দ্রুত চূড়ান্ত একটি চুক্তি করতে পারব আমরা। আমি আশাবাদী এ ব্যাপারে যে, এই বিরোধে জড়িত সব দেশের মধ্যেই আমরা একটি চূড়ান্ত চুক্তির কাছাকাছি চলে এসেছি। শুক্রবার বাহরাইনে এক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুবই আশাবাদী যে, এই বিরোধ সমাধান হতে চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। এর মধ্যে কাতারে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি। বাহরাইনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহর। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। চুক্তির অধীনে প্রথমেই কাতারের জন্য উপসাগরীয় আকাশসীমা খুলে দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগে কাতারকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল আরবের ওসব দেশ। কিন্তু এমন অভিযোগ বার বারই অস্বীকার করে এসেছে কাতার। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ইরান।
×