ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ভাল খেলবে

সালাউদ্দিন আশাবাদী

প্রকাশিত: ২৩:৪৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

সালাউদ্দিন আশাবাদী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনামুক্ত হয়ে কাজী মোঃ সালাউদ্দিন শনিবারই প্রথমে পা রাখলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনে। স্রেফ অফিস করতে বা সহকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়ম করতেই আসেননি বাফুফে সভাপতি, এসেছিলেন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানাতে। তবে তার আগে কথা বলেন শুক্রবার কাতার-বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ প্রসঙ্গে, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমি ম্যাচটি দেখিনি। তবে কমেন্ট্রি শুনেছি। খোঁজ-খবর নিয়েছি। খেলা না দেখার কারণ আমি বাংলাদেশের ম্যাচ হলে উত্তেজনাটা সহ্য করতে পারি না। তাছাড়া আমার শরীরটাও ভাল ছিল না। প্রতি ১৫ মিনিট পরপর আমি ম্যাচের আপডেট জেনে নিচ্ছিলাম।’ বাংলাদেশ-কাতার ম্যাচ নিয়ে সালাউদ্দিনের মূল্যায়নটা খুবই সরল, ‘আমরা একমাস আগে থেকে ট্রেনিং শুরু করেছি। সবাই জানিÑ কাতার হচ্ছে এশিয়ার এক নম্বর দল। কাতারকে দেখেছি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্দান, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে এশিয়ান কাপ জিততে। তাদের ফাইনাল খেলা দেখতে আমি মাঠে ছিলাম। খেলা শেষে গাড়িতে করে ফেরার পথে আমার সঙ্গে কথা হয় জাপান ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির। জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার, তোমরা ফাইনালে পারলে না কেন? জবাবে তিনি বললেন, ‘তুমিই তো জান কি হয়েছে।’ তার ইঙ্গিতপূর্ণ কথা শুনে আমি বুঝেও না বোঝার ভান করলাম। তিনি এবার খোলাসা করে বললেন, ‘এটা তো কাতার টিম না। এটা তো ফরেনারদের টিম।’ তবে কাতার যেভাবে দল বানিয়েছে সেটা তো তারা ফিফার নিয়ম মেনেই করেছে। কাতার আসলে ফুটবলের উন্নয়নে পুরো ফোকাস দিয়েছে এবং মনোযোগ দিয়ে কাজ করেছে।’ সালাউদ্দিন আরও যোগ করেন, ‘গত আড়াই বছরে কাতার তাদের জাতীয় ফুটবল দলের পেছনে ১.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। আমরা নেপালের সঙ্গে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি খেলে তারপর কাতারে গেছি। আর কাতার প্রস্ততি ম্যাচ খেলেছে কোরিয়া, কোস্টারিকা, ঘানার সঙ্গে। এখানেই কাতারের সঙ্গে আমাদের তফাত।’ কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের হারটা ছিল স্বাভাবিক। এমনটাই দাবি বাফুফে বসের, ‘তবে গোলসংখ্যা আরেকটু কম হলে ভাল হতো। তবে ছেলেরা গত ১৫-২০ দিনে যা খেলেছে, অনেক খেলেছে। তবে খুশি হওয়ার মতো না। এখন খুশি হওয়ার মতো কাজগুলো করতে হবে, সেটা হচ্ছে অর্থ সংগ্রহ। এখন সবার কাছ থেকে সাহায্য পেলে জাতীয় দলকে ভাল একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।’ ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ সেবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ গোলে হারল, তারপর থেকেই যদি জাতীয় দলকে টানা ট্রেনিংয়ের ওপর রাখা যেত তাহলে তারা শুক্রবার কাতারের কাছে দুই গোলের বেশি খেত না বলেই মনে করেন সালাউদ্দিন। কিন্তু আর্থিক কারণে জামালদের টানা ক্যাম্প চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি তার। নেপাল দলকে আনতে গিয়ে বাফুফের বোর্ড থেকেই টাকা খরচ করা যাবে না বলে আপত্তি এসেছিল, জানান সালাউদ্দিন। জাতীয় দলের ট্রেনিং ক্যাম্প প্রসঙ্গে সালাউদ্দিনের ভাষ্য, ‘এক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা চাইব ক্লাবগুলোর কাছে। কারণ খেলোয়াড়রা তো সবাই ক্লাবেরই। ট্রেনিং পিরিয়ডটা ১০ দিনের জায়গায় একমাস করতে চাই। ১৫ দিন ফিটনেস প্রোগ্রাম, বাকি ১৫ দিনে ৩-৪টা ম্যাচ খেলা। এক্ষেত্রে ক্লাবগুলোকে যেমন ত্যাগ স্বীকার করতে হবে, তেমনি বাফুফেকেও প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে। এই দুইয়ের সমন্বয় হলেই আমি নিশ্চয়তা দিতে পারি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগামী তিনটি ম্যাচেই ভাল ফল করবে বাংলাদেশ।’
×