ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকায় ভয়াবহ দূষণ ॥ দিল্লীকে পেছনে ফেলে এক নম্বরে

প্রকাশিত: ২৩:১১, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাকায় ভয়াবহ দূষণ ॥ দিল্লীকে পেছনে ফেলে এক নম্বরে

শাহীন রহমান ॥ শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে ঢাকার বায়ু দূষণ বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। ভয়াবহ দূষণের কারণে রাজধানীর ঢাকা বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে স্থান নিয়েছে। অপরদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লী এতদিন প্রথম স্থানে থাকলেও বর্তমানে ঢাকার নিচে নেমে দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৬ সাল থেকেই রাজধানীতে মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন চলছে। কিন্তু এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দূষণ নিয়ন্ত্রণের কোন ধরনের ব্যবস্থা নেই। এর বাইরে শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সেবামূলক সংস্থাগুলোর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। সেখানে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না রেখেই কাজ চলছে। এছাড়া রাজধানীর চারপাশের ইটভাঁটি থেকে দূষণ ছাড়াচ্ছে। ফলে বায়ু দূষণ দিন দিন ভয়াবহ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। দূষণের প্রভাব পড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর বেশি। এ্যাজমা, নিউমোনিয়া, রক্তশূন্যতাসহ খাদ্য নালীর প্রভাব ও ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী এই বায়ু দূষণ। তারা বলছেন, বায়ু দূষণে মানবদেহে যেসব রোগের উপসর্গ তৈরি করে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ একই। শীতে বায়ু প্রবাহের গতি অনেক কম থাকায় রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে থাকা দূষণ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সরাসরি শরীরে ঢুকছে। তারা জানান, এ কারণে বায়ু দূষণ করোনা মহামারী ত্বরান্বিত করতে ভূমিকা রাখছে। আগামী কয়েকমাস তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল রিপোর্ট অনুসারে বাতাসের মান ২৬৩ নিয়ে এখন দূষিত শহরের শীর্ষে ঢাকা। অন্যদিকে বাতাসের মান ২৬১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লী। এছাড়া বাতাসের মান ২১৬ নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর তৃতীয় ও ১৮৭ নিয়ে চতুর্থ স্থানে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা। বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় পাঁচ নম্বরে ভারতের মুম্বাই, ছয় নম্বরে কুয়েত সিটি ও সাত নম্বরে রয়েছে মঙ্গোলিয়ার উলানবাটোর। ইউক্রেনের কিয়েভ রয়েছে আট নম্বরে ও বিশ্বের নয় নম্বর দূষিত শহর হলো উজবেকিস্তানের তাসখন্দ। আর বিশ্বের ১০ নম্বর দূষিত শহর চীনের উহান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছর থেকেই রাজধানীর বায়ু দূষণের তালিকায় এক নম্বরে উঠে গেছে। বর্তমানে তা ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মৌসুমে বাতাসের গতিবেগ অনেক কম থাকে। এ কারণে এসব নির্মাণ কাজে যেসব দূষণ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তা উপরে উঠে যেতে পারে না। সরাসরি মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করছে। এমনিতেই দেশে করোনা মহামারী চলছে। বায়ূ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শুষ্ক মৌসুমে কোভিড পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান জনকণ্ঠকে বলেন, যেসব মেগা প্রজেক্টের কাজ চলছে রাজধানীতে, এসব কাজের জন্য বিদেশী সব প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তারা কোনভাবেই দূষণের নিয়ন্ত্রণের নিয়মনীতি মানছে না। অপরদিকে মেগা প্রজেক্টের কাজ কতটা পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে তা দেখভালের দায়িত্ব পরিবেশ অধিদফতরের। কিন্তু তারা ছাড়পত্র দিয়ে খালাস। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পরিবেশের প্রভাব নিরূপণে কোন ধরনের মনিটরিং তাদের নেই। এসব প্রতিষ্ঠানকে কোন ধররেনর নোটিস পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া রাজধানী ঢাকায় সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ ঠিক রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। কিন্তু তারা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দিয়েই খালাস। কিন্তু কোন ধরনের দেখভাল করছে না। তিনি বলেন, মেগা প্রজেক্টের কাজ অনুমোদনের আগে এসব প্রতিষ্ঠানকে পরিবেশ অধিদফতরের কাছে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণের প্রস্তাব দাখিল করতে হয়। অধিদফতরও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ঠিক রেখে কাজ করার জন্য তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা এর সঙ্গে যোগ করে। উভয়পক্ষের সম্মতিতেই পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে কাজ শুরু করতে হয়। কিন্তু কাজ শুরু করার পর যদি তারা ছাড়পত্রের কোন নিয়ম না মেনে কাজ করে পরিবেশ দূষণ করে তাহলে পরিবেশ ছাড়পত্র বাতিল করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। কিন্তু ছাড়পত্র দেয়ার পর নিয়ম মেনে কাজ করছে কিনা সরকারী এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোনদিন মনিটর করা হচ্ছে না। ফলে দূষণ বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষিতে গত বছর পরিবেশ অধিদফতর থেকে তাদের একবার নোটিস দেয়া হয়। সেই নোটিসের প্রেক্ষিতে মেগা প্রজেক্টের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা দূষণ নিয়ন্ত্রণের কিছু ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কিছুদিন স্থগিত রাখা হয়। পুনরায় আবার শুরু হলেও পরিবেশ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর নেই বললেই চলে। পরিবেশ অধিদফতর নিয়মিত নোটিস দিয়ে এবং এসব কর্মকাণ্ড মনিটরিং করলে বায়ু দূষণ এত মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারত না। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, মাঝে মধ্যে রাজধানীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিবেশ মোতাবেক চলছে কিনা তার জন্য নোটিস দেয়া হলেও লোকবল কম থাকার কারণে নিয়মিত মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। শুধু মেগা প্রজেক্ট নয়। রাজধানীতে বিভিন্ন সেবামূলক সংস্থার চলছে বর্তমানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। ওয়াসা, বিদ্যুত বিভাগের লাইন নেয়া এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের জন্য চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। কিন্তু সেখানে নিয়ন না মেনে কাজ চলছে। একবারেই সব রাস্তা খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে। খুঁড়ে ফেলা রাস্তার ধুলাবালি নিয়মিত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। আব্দুস সোবাহান বলেন, এসব খোঁড়াখুঁড়ির কাজ একবারে না করে প্রথমে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু খুঁড়ে পরে আবারও শুরু করলে বায়ু দূষণ এতটা বাড়ত না। এছাড়া খোঁড়াখুঁড়ির পর সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা মেরামত না করেই ফেলে রাখা হচ্ছে। পরে অন্য সংন্থা এসে রাস্তা মেরামত করছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে। এই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িও বায়ু দূষণ বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা বায়ু দূষণের জন্য এর চারপাশে অবস্থিত ইটভাঁটি অনেকাংশ দায়ী। এসব ইটভাঁটি যেমন অবৈধ আবার নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে রাজধানীর চারদিকে দূষণ ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, দূষণ বন্ধে অবৈধ ইটভাঁটি বন্ধ করে দিতে হবে। বৈধ ইটভাঁটায় উন্নমানের জ্বানালির ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। এই মৌসুমে বাতাসের গতিবেগ একেবারেই কমে যায়। ফলে রাস্তায় পড়ে থাকা ধুলাবালি বেশি উড়ে যেতে পারছে না। যানবাহনের চলচলের সময় তা দ্রুতই সরাসরি নাকের মধ্যে এসে ঢুকছে। ফলে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি করছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমিরুল মোর্শেদ এ বিষয়ে জনকণ্ঠকে বলেন, বায়ু দূষণের প্রভাব মানবস্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ায় এ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এছাড়া বায়ু দূষণের কারণে মানুষের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ সীসা ঢুকছে। এই অতিরিক্ত সীসার কারণে মানুষের দেহে রক্তশূন্যতা তৈরি হচ্ছে। এই সীসা খাবারের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে খাদ্যনালীতে প্রদাহ সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, মানুষের ত্বকের ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী এই বায়ু দূষণ। বর্তমানে দেশে করোনা মহামারী চলছে। করোনার কারণে মানুষের দেহে যেসব উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বায়ু দূষণের কারণে একই উপসর্গ তৈরি করছে। ফলে শীতের আগমনে করোনা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু দূষণের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছে। এক হিসেবে দেখা গেছে, খোদ রাজধানী ঢাকায় গত ১০ বছরে বায়ু দূষণ বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বায়ু দূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু দুই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কমছে। এছাড়া এর ফলে নানা ধরনের অসুখের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করাই বায়ু দূষণের সবচেয়ে শিকার হচ্ছে। ২০১৭ সালের গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে ১১ শতাংশ ডায়াবেটিস, ১৬ শতাংশ ফুসফুস ক্যান্সার, ১৫ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের রোগ, ইসকেমিক হৃদরোগে ১০ শতাংশ মৃত্যু এবং ৬ শতাংশ স্ট্রোক বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। বায়ু দূষণে আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম। আন্তর্জাতিক গবেষণায় উঠে এসেছে বায়ু দূষণের ফলে দেশটির গড় আয়ু প্রায় দুই বছর কমেছে। ঢাকার বায়ুতে ক্ষুদ্র দূষক পিএম ২.৫-এর মান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানের ৮ গুণ এবং জাতীয় মানের চেয়ে ৬ গুণ বেশি। এয়ার ভিজ্যুয়ালের রিপোর্ট অনুযায়ী- গতবছর নবেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত একদিনের হিসেবে বেশ কয়েকবার রাজধানীর ঢাকার নাম এক নম্বরে উঠে আসে বায়ু দূষণের তালিকায়। যদিও করোনার কারণে এই দূষণ অনেকটাই কমে এসেছিল। কিন্তু জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা গত ১০ বছরে ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ু দূষণ মাত্রা কমানোর জন্য জরুরী ভিত্তিতে সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ঢাকার সড়ক ও ঘরের ভেতরের বায়ু দূষণ নিয়ে সম্প্রতি পরিচালিত দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ু দূষণের কারণে দেশের শিশুরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্র ও যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ পরিচালিত যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার রাস্তায় ধুলায় উচ্চমাত্রার সীসা, ক্যাডমিয়াম, দস্তা, ক্রোমিয়াম, নিকেল, আর্সেনিক, ম্যাঙ্গানিজ ও কপারের উপস্থিতি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক উপাদান হচ্ছে পিএম ২.৫। এশিয়ার বায়ুর গুণমান অনেক খারাপ। বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণ ১৯৯০ সাল থেকে পিএম ২.৫ মাত্রার মধ্যে বসবাস করছে। বায়ুতে পিএম ২.৫ উপাদানের কারণে বিশ্বে তিন মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের অর্ধেকের বেশি মানুষ ভারত ও চীনে বসবাস করত। বর্তমানে বাংলাদেশে বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন।
×