ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু বীমা পেশায় যোগ দেন : বিআইএ সভাপতি

প্রকাশিত: ২০:১১, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু বীমা পেশায় যোগ দেন : বিআইএ সভাপতি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বীমা পেশায় থেকে মানুষের কাছে খুব সহজে যাওয়া যায়। তাই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে বীমাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) আয়োজিত এক বৈঠকে এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। জীবন বীমার গ্রাহকরা যাতে দ্রুত বীমা দাবি পান তারই অংশ হিসেবে জীবন বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) সঙ্গে এ বৈঠক আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্সে যোগদানের মাধ্যমে বীমা পেশার সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৫২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে প্রতিষ্ঠিত আলফা ইন্স্যুরেন্স ঢাকায় শাখা স্থাপন করে ১৯৫৯ সালের অক্টোবরে। তৎকালীন জিন্নাহ এভিনিউয়ে ছিল এ শাখা অফিস। এরপর চট্টগ্রামের অন্দরকিল্লায় কোম্পানিটির আরেকটি শাখা কার্যালয় স্থাপন করা হয়। দেশ স্বাধীন করার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু বীমাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়ায় বীমা কর্মীদের জন্য এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় বলে উল্লেখ করেন শেখ কবির হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চাকরি করতেন ওখানে, কিন্তু তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করা। সে জন্য তিনি বীমা খাতকে বেছে নিয়েছিলেন। সুতরাং বাংলাদেশের স্বাধীনতের জন্য যতগুলো খাত আছে তার মধ্যে বীমা খাতের অবদান অত্যন্তের গর্বের। কবির হোসেন আরও বলেন, বীমা খাত সব সময় দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। যেমন বিশ্বব্যাংক যখন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতু থেকে চলে গেল, সে সময় আমরাই বলেছিলাম, জীবন বীমার যে টাকা আছে তা দিয়েই পদ্মা সেতু করা হবে। বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইল শেখ কবির বলেন, কীভাবে জীবন বীমা খাতের উন্নয়ন করা যায় এবং কীভাবে এই খাতে শৃঙ্খলা আনা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলো যাতে গ্রাহকদের দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করে সে বিষয়ে বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে জানিয়ে শেখ কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বীমা পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য বীমা খাতের অবদান রয়ছে। সুতরাং এই খাতকে আমাদের ওইভাবেই দেখতে হবে। তিনি বলেন, জাতীর পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এই খাতে আমাদের শৃঙ্খলা আনতে হবে এবং মানুষ যাতে দুর্নাম না করে সে জন্য আইন মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে সিইওদের একটি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করবেন।
×