ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:৩২, ৫ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠান তৈরি করতে হবে ॥ তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি শুক্রবার উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সকালে ঢাকাস্থ বাংলাদেশ বেতার ভবনে আয়োজিত সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে জুম এ্যাপে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেই বেতারের অনুষ্ঠানমালা তৈরি করতে হবে। দেশপ্রেম নিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রজন্ম যাতে গড়ে ওঠতে পারে সে ব্যাপারে বেতারকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। খুলনা বেতার প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। ঢাকা প্রান্ত থেকে জুমে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া। জুম এ্যাপে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশিরউদ্দিন। সূবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ঢাকা ও খুলনা প্রান্তে বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিল্পী, কলা-কৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন। গৌরবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা কেন্দ্র করোনা মহামারীর কারণে সীমিত কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত স্টুডিওভিত্তিক বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র, মহানগরীর উপকণ্ঠে গল্লামারীতে (বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত) যাত্রা শুরু করে। মাত্র ১০ কিলোওয়াট শক্তিসম্পন্ন ট্রান্সমিটার দিয়ে যাত্রা শুরু করে খুলনা বেতার দ্রুত খুলনা অঞ্চলের মানুষের মন জয় করে নেয়। ১৯৮১ সালে ২৮শে এপ্রিল ১০০ কিলোওয়াট ট্রান্সমিটার সংযোজনের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি বাংলাদেশসহ ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করা অনুষ্ঠান প্রচার করছে। বর্তমানে কেন্দ্রটি নগরীর খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে নূরনগর এলাকায় অবস্থিত।
×