ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভাসানচরে এলেন ১ হাজার ৬ শত ৪২ জন রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

ভাসানচরে এলেন ১ হাজার ৬ শত ৪২ জন রোহিঙ্গা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী / হাতিয়া ॥ অনেক বিতর্কের পর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি দল ভাসানচর এসেছে। এ জন্য ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন ভেনার পেস্টুন স্থাপন করে সাজানো হয়েছে। শক্রবার সকালে নৌ বাহিনীর তিনটি জাহাজে চট্রগ্রাম থেকে ১৬শত ৪২ জন রোহিঙ্গার একটি দল ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুপুরে এসে পৌঁছাল তারা। স্বেচ্ছায় যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদের পাঠানোর মাধ্যমেই এ স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ধাপে নারী-পুরুষ, শিশুসহ ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছেছে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এর মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০জন,পুরুষ ৩৬৮জন,নারী ৪৬৪জন রয়েছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ভাসান চরে আসা সকল রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তার পর ওয়ার হাউজে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের ব্রিফিং করেন। ব্রিফিং শেষে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত রাখা ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়। রোহিঙ্গাদের রিসিভ করতে আগ থেকে ভাসানচর অবস্থান করেন নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো: নোমান হোসেন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপক জতি খিসা, ও হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন। এসময় নৌবাহিনীর উদ্ধর্তন অনেক কর্মকতা ছাড়াও আইন শৃংখলা বাহিনীর অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টিক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। পরে ভাসানচর যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ২০টি বাসে চট্রগ্রাম নিয়ে আসা হয়। চট্রগ্রামে বি এ এফ শাহিন কলেজের মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। শুক্রবার সকালে নৌ বাহিনীর পতেঙ্গা ঘাট দিয়ে তাদের জাহাজে তোলা হয়। এর আগে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কার্যক্রম ঘিরে বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপ ঘুরে আসে ২২টি এনজিওর প্রতিনিধি দল। ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের জন্য সেখানে মজুত করা হয়েছে ৬৬ টন খাদ্য সামগ্রী।
×