ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গুরুসদয় দত্ত ও তাঁর ছড়ার ভুবন

প্রকাশিত: ০১:৩৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

গুরুসদয় দত্ত ও তাঁর ছড়ার ভুবন

আজ এই বিশ্বাসহীনতার দিনে, আজকের এই বাস্তবতায় যেখানে প্রতিটি ঘটনার পেছনে আমরা গূঢ় কারণ খুঁজি, নিজেদের বুকের গভীরে সন্দেহের দোলাচল নিয়ে ঘটনার গভীরে আলো ফেলতে যাই। খুব মনে হয় এ থেকে বের হওয়া দরকার। মানুষ হিসেবে আমরা ভয়াবহ এ আবর্ত থেকে যত দ্রুত ফিরে আসতে পারব আমাদের মানবিক সত্তাটা ততই সম্মানিত হবে। খুব দূর অতীতে নয়, আমাদের অনুসরণ করার মতো অসাধারণ ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বল মূর্তি সহসাই পেয়ে যেতে পারি, একটু চোখ কান খোলা রাখলেই। মানুষ হওয়ার শিক্ষাটার সূত্র পেয়ে যেতে পারি, তবে নেয়ার ইচ্ছেটা থাকতে তো হবে! না হলে তাঁরা দূর আকাশের তারা হয়েই থাকবেন। আমরা নিজেদের অর্পণ করব আরও অন্ধকারে। যেখান থেকে ফেরার পথ আর কোন দিনই খুঁজে পাব না..। শিকড়ের খোঁজে আমাদের পূর্বসূরি নক্ষত্রসম মানুষদের মধ্যে বিরল প্রতিভার অধিকারী একজন শ্রী গুরুসদয় দত্ত। এই মেধাবী মানুষটির সম্পর্কে এই প্রজন্ম তেমন কিছুই জনে না। অথচ একটি মেধাবী জাতি গঠনের পূর্বশর্ত হলো ঐ জাতির মহান মানুষদের কীর্তি তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যাবার পথ দেখানো। আমরা কি তা করছি? ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমি একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। তা হলো দেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক সাংবাদিক ও শিল্পীর জীবন কথা প্রকাশ করা। সেই উদ্যোগটিও বর্তমানে থমকে আছে। আমাদের সৌভাগ্য ঐ সময় গুরুসদয় দত্ত সম্পর্কে একটি জীবনীগ্রন্থ বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছিল এর বাইরে গুরুসদয় দত্ত এবং তাঁর রচনার কোন প্রকাশনা বাংলাদেশে অদ্যাবধি পাওয়া যায়নি। বাংলা একডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ গুরুসদয় দত্তের জীবনী গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছিলেন,‘গুরুসদয় দত্ত ছিলেন জ্ঞান, শ্রম, সত্য, ঐক্য ও আনন্দের প্রতীক। দেশপ্রীতি, মাতৃভাষা প্রীতি, সংযম, অধ্যবসায় ও আত্মনির্ভরতা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ফোকলোর- এর প্রায় সব শাখাতেই তিনি বিচরণ করেছেন। ‘ব্রতচারী আন্দোলন’ তাঁর অপরিসীম সাংগঠনিক শক্তির ফসল। দেশের মানুষের জন্য সমাজ সংস্কারক গুরুসদয় দত্ত ব্রিটিশ সরকারের জেলা প্রশাসক হয়েও ব্রিটিশের বিরুদ্ধাচারণ করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। এই মহান মানুষটি সম্পর্কে আমরা অন্ধকারে থাকলে তাঁর কোন ক্ষতি নেই। ক্ষতি আমাদের, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের। গুরুসদয় দত্ত সিলেট জেলার তৎকালীন করিমগঞ্জ থানার (বর্তমানে জকিগঞ্জ) বীরশ্রী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রামকৃষ্ণ দত্ত চৌধুরী। মাতার নাম আনন্দময়ী দেবী। ১৮৮২ সালের ১০ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। অসাধারণ মেধাবী গুরুসদয় দত্ত সিলেটের ইংরেজী স্কুল থেকে এনট্র্যান্স (১৮৯৯), কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ (১৯০১) পাস করেন। ১৯০৩ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষায় (১৯০৪) প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। একই বছর ব্যারিস্টারি পরীক্ষায় কনস্টিটিউশনাল ল বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। পেশা, সাজাত্যবোধ ও দেশপ্রেম তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ইংল্যান্ডে। ইমানুয়েল কলেজে (ক্যামব্রিজ) প্রবেশনারি পিরিয়ড অতিক্রম করেন শিক্ষাজীবনে। কর্মজীবন শুরু করেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে। সম্ভবত ১৯০৬ সালে গয়ায় তিনি প্রথম যোগদান করেন। গুরুসদয় দত্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন বীরভূম (১৯৩১-৩৩), হাওড়া (১৯২৮) ও ময়মনসিংহ (১৯২৯) জেলায়। ১৯৩৩ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হয়েছিলেন। এছাড়া লেবার ডিপার্টমেন্টের সচিব এবং বাংলা সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। গুরুসদয় দত্ত ছিলেন খুবই স্বাধীনচেতা মানুষ। ব্রিটিশ সরকারের চাকরি করলেও তাঁর মধ্যে সাজাত্যবোধ ও দেশপ্রেম ছিল অপরিসীম। তিনি যখন হাওড়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট,তখন বামুনগাছিতে ব্রিটিশ সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা গেলে মামলা হয়েছিল। তাঁর রায়ে তিনি ইউরোপীয় এসপি ও সামরিক কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা করেন, যা ওই সময়ে কোন ভারতীয় নাগরিকের পক্ষে ছিল দুঃসাধ্য। শুধু এটি নয়, এ রকম আরও অনেক দুঃসাহসী ঘটনার জনক ছিলেন গুরুসদয় দত্ত। তিনি সরাসরি বিপ্লবী না হয়েও স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য মনেপ্রাণে কাজ করে গেছেন। গুরুসদয় দত্ত শুধু একজন সরকারী কর্মকর্তাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মনে প্রাণে একজন সমাজসেবক ও সংগঠক। তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। শুধুমাত্র ব্রতচারী আন্দোলনকে গতিদানের জন্য দেশে বিদেশে অসংখ্য সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। এবং প্রতিটি সংগঠন দেশ বিদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাঁর হাতে গড়া সংগঠন ছিল নিম্নরূপ- ১. সরোজনলিনী নারীমঙ্গল সমিতি (১৯২৬) ২. ময়মনসিংহ ফোক ড্যান্স এ্যান্ড ফোক মিউজিক সোসাইটি (১৯২৯) ৩. পল্লীসম্পদ রক্ষা সমিতি (১৯৩১) ৪. ব্রতচারী লোকনৃত্য সমিতি (১৯৩২) ৫. ব্রতচারী সোসাইটি (১৯৩২) ৬. অল ইন্ডিয়া ফোক সং এ্যান্ড ফোক ডান্স সোসাইটি (১৯৩২) ৭. পত্রিকা প্রতিষ্ঠান (১৯৩৬) ৮. ব্রতচারী গ্রাম প্রতিষ্ঠা (১৯৪০) ইত্যাদি। আজকের এই নারী জাগরণ ও গ্রাম উন্নয়ন গুরুসদয় দত্তের সাংগঠনিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নয় কি? ছড়াকার গুরুসদয় দত্ত সাহিত্যের অন্যান্য অনেক শাখার মতো ছড়াতেও তিনি ছিলেন স্বতঃস্ফূর্ত। তাঁর তিনটি ছড়ার বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁর শিশুপুত্র বীরেন্দ্রসদয় এর জন্য ছড়া লেখা শুরু করেছিলেন। অগ্রন্থিত অনেক ছড়া তাঁর সম্পাদিত ‘বাংলার শক্তি’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় ছড়িয়ে আছে। গুরুসদয় দত্ত তাঁর সাহিত্যচর্চা সম্পর্কে এক ভাষণে বলেছিলেন-‘প্রথমে বিলেত থেকে ফিরে এসে সাহেবীআনার স্রোতে গা ঢেলে ইংরেজী কবিতায় আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বুঝলাম যে তাতে ভাষাগত ও ভাবগত কৌশল প্রকাশ করতে পারলেও নিজের ও জাতির গভীর আত্মার ভাবের ও ছন্দের পূর্ণ রূপায়ণ করা অসম্ভব। তাই আমার ছেলের শৈশবকালে তার মনোরঞ্জনের জন্য শিশুসাহিত্য এবং পরে অন্যান্য সাহিত্যের চর্চার ভেতর দিয়ে নিজের সাহিত্যিক আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করে আসছি। এবং তাতে যে কেবল গভীর আনন্দ ও আত্মতৃপ্তি লাভ করতে সক্ষম হয়েছি তা নয়, এই চেষ্টার ভেতর দিয়ে ভারতের এবং বাংলার অতুলনীয় কৃষ্টিধারার সঙ্গে প্রাণের অবাধ যোগ স্থাপন করে অন্তর্জীবনে যে অমূল্য উদার অবদান লাভ করার সুযোগ পেয়েছি তা বাংলা সাহিত্যচর্চার সহায়তা ছাড়া সম্ভব হতো না।’ প্রকাশিত ছড়ার বই ক. ভজার বাঁশি (১৯২২): নন্দলাল বসু ও অসিত কুমার হালদার কর্তৃক চিত্রিত। প্রথম সংস্করণ : ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ। ইন্ডিয়ান পাবলিশিং কর্তৃক ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয় সংস্করণ। পৃষ্ঠা সংখ্যা-৫৬। খ. চাঁদের বুড়ি (১৯৩৩): এই বইটি সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য নেই। তবে শামসুজ্জামান খান ও সেলিনা হোসেন সম্পাদিত চরিতাভিধান, ভারতকোষ, সাহিত্যসেবক মঞ্জুষা প্রভৃতি গ্রন্থে চাঁদের বুড়ির নাম আছে। গ. পাগলামির পুঁথি (১৯৫৬) : প্রকাশক : এমসি সরকার, পৃষ্ঠা সংখ্যা-৬২। প্রকৃত পক্ষে ‘ননসেন্স ভার্স’ ধরনের মজার ছড়ার সংকলন ছিল পাগলামির পুঁথি। লোক ঐতিহ্যের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তাঁর। ‘ব্রতচারী আন্দোলন’ এ লোকছড়াকে বিপুলভাবে ব্যবহার করেছেন তিনি। ফলে ব্রতচারী ভাষ্য খুব দ্রুতই লোকমুখে প্রচারিত হয়ে যায়। এডওয়ার্ড লিয়র (১৮১২-১৮৮৮), লুইস ক্যারল (১৮৩২-১৮৯৮) প্রমুখের রচনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল। বাংলা লিমেরিক রচনায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তবে লিমেরিকে তিনি বাংলার স্বাতন্ত্রকে বিসর্জন দেননি। লিয়রের ফর্ম ব্যবহার করলেও বিষয় ছিল বাংলা ও বাঙালী। তাঁর ছড়ার কিছু উদাহরণ : ১. চল কোদাল চালাই ভুলে মনের বালাই ঝেড়ে অলস মেজাজ হবে শরীর ঝালাই। যত ব্যধির বালাই বলবে পালাই পালাই! পেটের ক্ষিধের জ্বালায় খাবো ক্ষীর আর মালাই। ২.মোরা ছুটবো মোরা খেলবো বসে কুড়ে হয়ে থাকবো না ছাতি ফাটবে মাথা ভাঙবে তবু খেলা ছেড়ে হটবো না। ধন গড়বো গাড়ি চড়বো কারো হানি কভু করবো না পেয়ে লক্ষ্য হলে যক্ষ তবু গরিবেরে ভুলবো না। (অংশ) তাঁর কবিতা গুরুসদয় দত্ত স্বভাব কবি ছিলেন। মুখে মুখে গান ও কবিতা রচনা করতে পারতেন। সেই গান ও কবিতার সুরারোপ করে সবার সাথে গাইতেও পারতেন। তাঁর এই কবিত্ব শক্তি তাঁর সাংগঠনিক শক্তির পরিপূরক ছিল। তাঁর কবিতার মূল সুর ছিল মানুষের জাগরণের। ফলে নিখাদ প্রকৃতির চেয়ে জনগণ এবং লোকজ নানা বিষয়ই ছিল তাঁর কবিতার মূল সুর। কয়েকটি উদাহরণ- ক) মানুষ হ’ মানুষ হ’/আবার তোরা মানুষ হ’ বাহ্যরূপে খোলস ভেদি/সম্পূর্ণ বাঙালী হ’। খ) মোদের বাংলাদেশের মাটি তোমার শহর গ্রাম ও বাটি/সযতনে সবাই মোরা রাখব পরিপাটি। গ) আমরা বাঙালী আমরা বাঙালী/সত্যে ঐক্যে আনন্দে জীবন প্রদীপ জ্বালি। ঘ) জন্ম হবার সময় হতেই/বয়স চলে বেড়ে/বন্ধ করতে সেটি আর উঠবে না কেউ পেরে/বয়সে না হয় বাড়বো তবু/রাখবো তরুণ প্রাণ আয় তবে গাই/মিলে সবাই/তরুণতার গান- ঙ) মায়ের জাতের মুক্তি দেরে/নয় তো যাত্রা পথের বিজয় রথের চক্র তোদের ঠেলবে কে রে? মহাপ্রস্থানের পথে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস এ কর্মজীবন শুরু করে শেষ জীবনে সচিব পদে উন্নীত হয়েছিলেন গুরুসদয় দত্ত। ১৯৪০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৪১ সালের শুরুর দিকে তাঁর স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ২৫ জুন ১৯৪১ খ্রি. সকাল ৬-১৫ মিনিটে মহান পুরুষ গুরুসদয় দত্ত মহাপ্রস্থানের পথে যাত্রা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় ৮০ বছর সময় অতিবাহিত হয়েছে। অনেক কিছুই আজ স্মৃতির অন্তরালে। একজন প্রকৃত দেশ ও বিশ্বমানবতাবাদী মানুষের যে মূল্যায়ন হওয়ার কথা ছিল তার কতটুকুই বা হয়েছে! বাংলা একাডেমি তাঁর জীবনী প্রকাশ করেছে। কিন্তু গুরুসদয় দত্তর রচনাবলি প্রকাশ করলে, তাঁর লেখার সাথে লোকজীবন ও সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন প্রজন্মের চিন্তার সেতুবন্ধ তৈরি হতে পারত। আর শুধু একাডেমি কেন, ব্যক্তি পর্যায়েও তো এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। আমরা তার সকল রচনার সঙ্গে পরিচিত হতে চাই। সমৃদ্ধ হতে চাই ব্রতচারী আন্দোলনের মূল সত্যের সঙ্গে নিজেদের মননের সেতুবন্ধন তৈরি করে। চাই নিজেদের সত্য ও সুন্দরের মাপকঠিতে আরও একবার যাচাই করে এ দেশের ভবিষ্যতকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে। সবাইকে আলোর পথে এগিয়ে নিতে। সবাইকে আলোর পথযাত্রী হবার আহ্বান জানাই। তথ্য সূত্র ১। একফর্মা ছড়াপত্র- প্রস্তুতি সংখ্যা, বৈশাখ-১৪১৩ সম্পাদক- অবিনাশ আচার্য ও চন্দনকৃষ্ণ পাল ২। তৃণমূল- ফেব্রুয়ারি-মার্চ-২০০০ সংখ্যা সম্পাদক- হাবিব আহমদ (দত্ত) চৌধুরী ৩। জীবনীগ্রন্থ-গুরুসদয় দত্ত- সৈকত আসগর , বাংলা একাডেমি ৪। বাংলাপিডিয়া- ভুক্তি- ১০১৩৬৫ ও ১০৩৭৯৭
×