নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, যশোর, ৩ ডিসেম্বর ॥ শহরের স্বাধীনতার স্মারক বিজয় স্তম্ভটি রাতারাতি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই এই স্তম্ভটি ভেঙ্গে ফেলেছে তা জানা যায়নি। বিজয় স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কেশবপুর একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
কেশবপুর শহরের প্রবেশ মুখে ২০১০ সালে খোঁজাখালের পাড়ে একটি বিজয় স্তম্ভ তৈরি করা হয়। জাতীয় দিবসে বিশেষ করে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসে প্রশাসন এবং কেশবপুরের সর্বসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে আসছে। হঠাৎ ওই বিজয় স্তম্ভটি ভেঙ্গে সমান করে দিয়েছে। কে বা কারা এই স্বাধীনতার স্তম্ভটি ভেঙ্গে ফেলল তা কেশবপুরের উপজেলা প্রশাসনও কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার কেশবপুরের নাগরিক এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে বিজয় স্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে স্মরকলিপি দেয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, কেশবপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মণ্ডল, প্রথম আলোর যশোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম।
স্মারকলিপিতে পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় স্তম্ভটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় স্তম্ভ সুবিধাজনক জায়গায় ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিকামী জনতাকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হবে।
কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, কে বা কারা বিজয় স্তম্ভ ভেঙ্গেছে তা জানা নেই। তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জনানো হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: