ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবিতে মধুদার ভাস্কর্যের কান ভাঙল দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ২৩:২০, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাবিতে মধুদার ভাস্কর্যের কান ভাঙল দুর্বৃত্তরা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের সামনে থাকা ‘মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য’র বাম কান ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কারা, কখন ভেঙ্গেছে তা জানা যায়নি। গত বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাটি নজরে আসার পর অংশটি প্রতিস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘গত রাতে (বুধবার) প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের নজরে আসে। পরে ক্যান্টিনের কর্মচারীরাই সেটি প্রতিস্থাপন করেছেন।’ তবে মধুর ক্যান্টিনে কর্মরত কর্মচারীদের দাবি প্রক্টরিয়াল টিম ভাঙা অংশটি প্রতিস্থাপন করিয়েছে। ভাস্কর্র্যে আঘাত কেউ খেয়ালের বশে করেছে নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজ নিচ্ছে বলে জানান প্রক্টর। মধুর রেস্তরাঁ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত। এটি ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে পরিচিত। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ২০ বৈশাখ ক্যান্টিনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতি, সংস্কৃতি চর্চা এবং আড্ডার জন্য মধুর ক্যান্টিনের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাকে হত্যা করে। তার স্মরণেই রেস্তরাঁটির নামকরণ করা হয় মধুর ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের পাশে অবস্থিত গোল ঘরের সামনেই মধুর ভাস্কর্যটি অবস্থিত। মধুদা স্মরণে মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণেই নির্মিত হয়েছিল শহীদ মধুদার স্মৃতি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটির গায়ে লেখা রয়েছে ‘আমাদের প্রিয় মধুদা’। এর ভাস্কর হলেন মোঃ তৌফিক হোসেন খান। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য এমাজ উদ্দীন আহমেদ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। তবে পরবর্তীতে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয় এবং ২০০১ সালের ১৭ মার্চ পুনর্নির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী।
×