ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ২৩:০৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২০

উবাচ

ভাংচুর হবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মোগলটুলি উচ্চ বিদ্যালয়। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকা ২০১৩ সালে হুট করে কোন একদিন স্কুলটির নাম পরিবর্তন করে রাখলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়। এখন আবার সিটি কর্পোরেশন স্কুলটির আগের নামেই ফিরে গেছে। বঙ্গবন্ধু খুনের ছক এঁকে দেয়া জিয়াউর রহমান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে কলঙ্ক লেপন করেছিলেন তা কোনদিন ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। ক্ষমতাকে স্থায়ী করতে হত্যা, খুন, ক্যু এমন কিছু নেই জিয়াউর রহমান করেননি। এখন কেউ যদি বলেন, এমন একটি মানুষের নামে স্থাপিত স্কুলে আমি পড়তে চাই না। তাহলে কি খুব অন্যায় হবে? তবে বিএনপির এই বোধটি নেই। তারা ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পাল্টে জিয়াউর রহমানের নামে রেখেছিল। ধরুন, কোন এক বিদেশী প্রথম দেশের মাটিতে পা রেখেই যদি জানতে চান, জিয়াউর রহমান কে? কোন্ উত্তরটি যথার্থ হবে- তিনি দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি নাকি তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসক? যিনি স্বাধীনতার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় বন্দুকের নল দেখিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাহলে ওই বিদেশী নাগরিক কী প্রথমেই মনে করবেন না- কেমন জাতি! একজন স্বৈরশাসকের নামে দেশের প্রধান বিমান বন্দরের নাম রেখেছে। দেশের বেশিরভাগ মানুষই মনে করে, এসব কারণেই জিয়াউর রহমানের নামে কোন স্থাপনা থাকা উচিত নয়। তবে বিএনপি এবার ক্ষেপেছে স্কুলটিকে তার আগের নামে ফিরিয়ে দেয়াতে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি নিজ হাতে পুরান ঢাকার ওই স্কুলে জিয়াউর রহমানের নামফলক লাগিয়ে দিয়ে আসবেন। না হয় ক্ষমতা পরিবর্তন হলে, আপনারা রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে যেসব স্থাপনা বানিয়েছেন, সেসব ভাংচুর হবে, তা প্রতিরোধ করতে পারবেন না। গয়েশ^র রায়ের এই হুমকি সত্যি হলে তো দেশে আর কোন স্থাপনা বানানো কঠিন। কারণ তারা তো সব ভেঙ্গে ফেলবেন। গয়েশ^র কি তাদের সুরেই কথা বলতে চাইছেন যারা এদেশের সংবিধান, আইন এবং ইসলামিক ধারণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বলছেন; বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানালে টেনে নামাবেন। রাতের আঁধারে ঢাবির মধুর ভাস্কর্যের কান কেটে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তাহলে কি রাজনীতির মাঠে যিনি গয়েশ^র তিনিই মামুনুল? ভাড়াটে খেলোয়াড়! স্টাফ রিপোর্টার ॥ তুরস্কের পথে পথে ভাস্কর্য। মানুষ অন্যদেশ থেকে এই ভাস্কর্যের সৌন্দর্য দেখতে যায়। শিল্পকলা দেখে মুগ্ধ হয়। একসময় ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলাদেশই ছিল দেখার মতো একমাত্র ভাস্কর্য। এখনও এর সৌন্দর্য বিমোহিত করার মতোই। এটি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়নি। তাহলে তখন কি আমরা প্রগতিশীল ছিলাম। ভাস্কর্য শুধু সৌন্দর্য বর্ধন করে না; সময়কে ধারণ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তা বয়ে নিয়ে যায়। এখন ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে একশ্রেণীর মোল্লামৌলবি প্রতিবাদ করছে। হুট করেই হেফাজতে ইসলামের এক নেতা মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদ করেছেন। আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের স্বঘোষিত আমির বাবু নগরী বলেছেন, যেখানেই ভাস্কর্য স্থাপন করা হোক না কেন তিনি টেনেহিঁচড়ে নামাবেন। ভাস্কর্য তো এদেশে নতুন স্থাপন হচ্ছে না। তাহলে এখন হুট করে এই আন্দোলন কেন? আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতে ইসলামে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। একপক্ষে বাবু নগরী মামুনুল হকরা রয়েছেন। অন্যপক্ষে রয়েছেন মাওলানা শফীর অনুসারীরা। সম্প্রতি শফীর অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন করে বাবু নগরীর নেতৃত্ব মানতে চান না বলে জানিয়েছেন। এর পর থেকেই পরপর মামুনুল হক এবং বাবু নগরীরা ভাস্কর্য ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের পরিস্থিতি উত্তাল করার চেষ্টা করছে। যাতে হেফাজতের নেতৃত্বের আসল-নকল নিয়ে কেউ কিছু না বলেন। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ইসলামী দলগুলোকে ভাস্কর্য বিরোধিতায় নামিয়েছে। আর এরা তাদেরই ভাড়াটিয়া খেলোয়াড় বলে মনে করছেন ইনু। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মোল্লাদের সামান্য ছাড় দেয়া, আস্কারা দেয়া, এদের সঙ্গে কোলাকুলি করার কৌশল আত্মঘাতী। ওভারকাম স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুজন বাঙালী ভদ্রলোক কথা বলছেন। একজন বলেই যাচ্ছেন আরেকজন কিছুই বুঝছেন না। বার বার প্রশ্ন করছেন। এবার কথা না বুঝতে পারা ভদ্রলোককে রেগে অপরজন বলেন- এই, আমি কি ইংরেজীতে বলতেছি যে বুঝতে পারছিস না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব সময় বলে আসছেন পরিস্থিতি বদলাবে, ভাল দিন আসবে। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ, ভাল দিন আসে না, পরিস্থিতিও বদলায় না। এজন্য বঙ্গ ছাড়িয়া তিনি ইংরেজী ধরেছেন। বলেছেন, উই শ্যাল ওভারকাম। মির্জা আলমগীর বলেছেন, ‘চতুর্দিকে অনেকে অন্ধকার দেখেন, হতাশা দেখেন। আমি তাতে বিশ্বাস করি না। আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমরা পারব। আমি বিশ্বাস করি, উই শ্যাল ওভারকাম।
×