ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে আগাম বোরো চাষে কৃষকরা মহাব্যস্ত

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

বরিশালে আগাম বোরো চাষে কৃষকরা মহাব্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কৃষি নির্ভর জেলার প্রতিটি উপজেলায় আমন ধান কাটা শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে আগাম বোরো ধান চাষ। গত বোরো মৌসুমে চাষীরা ধানের সঠিক মূল্য পেয়ে এবার কোমর বেঁধে আগাম বোরো চাষে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শে জেলার প্রতিটি উপজেলার চাষীরা এবার আমন ধানেরও বাম্পার ফলন পেয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৪/৫দিন থেকে প্রতিটি উপজেলার নিন্মাঞ্চলের জমিতে আগাম বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। সরকারিভাবে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে প্রান্তিক চাষীরা চাহিদা মোতাবেক প্রনোদনা পাওয়ায় চলতি মৌসুমে আগাম বোরো চাষে চাষীরা অধিকহারে ঝুঁকে পরেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমন ধানের ন্যায় আগাম বোরোতেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, উপজেলায় মোট ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে আগাম বোরো চাষের জন্য ৩ হাজার দুই শত হেক্টর জমি নির্ধারন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরন হলে ৩৭ হাজার দুই শত মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কৃষকরা আগাম বোরো চাষ শুরু করেছেন। তবে গত বছর বাজারে ধানের সঠিক মূল্য পাওয়ায় এবছর বোরো চাষের এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, সরকারী প্রণোদনা হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে গৌরনদী উপজেলার ২ হাজার ৩৯৫ জন কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার শহীদ সুকান্ত বাবু মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী। এসময় পৌর মেয়র হারিছুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার মামুনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। উপজেলার গেরাকুল গ্রামের গোলাম হেলাল মিয়া, আগৈলঝাড়ার তপন বসু, উজিরপুরের কল্যান চন্দসহ একাধিক চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের পর পরই তারা তাদের অধিকাংশ নিন্মাঞ্চলের জমিতে আগাম বোরো চাষ শুরু করেছেন। তারা আরও জানান, সরকারিভাবে স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে সার, ওষুধ ও উন্নতজাতের বীজ পাওয়ায় এখনও তাদের কোন প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাছাড়া গতবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমেও কৃষি অফিসারদের পরামর্শে অধিকাংশ কৃষক গুটি ইউরিয়া সারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। কৃষকরা বলেন, বোরো মৌসুমের মুখ্যম সময় সঠিকভাবে সার, ওষুধ ও সেচকাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ পেলে এবং বড়ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও তারা বাম্পার ফলন ফলাতে পারবেন।
×