ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মধুদার ভাস্কর্যের কান ভাঙ্গল দূর্বৃত্তরা, রাতে মেরামত

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

মধুদার ভাস্কর্যের কান ভাঙ্গল দূর্বৃত্তরা, রাতে মেরামত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ছাত্র রাজনীতির আতুরঘর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের সামনে থাকা 'মধুসূদন দে স্মৃতি ভাস্কর্য' এর বাম কান ভেঙ্গে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে কারা কখন কান ভেঙ্গেছে তা জানা যায় নি। গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি নজরে আসার পর ভাস্কর্যটিতে একটি নতুন কান লাগানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, গতকাল রাতে প্রক্টরিয়াল টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের নজরে আসে। পরবর্তীতে সেটি মেরামত করা হয়। কেউ খেয়ালের বশে কান ভেঙ্গে ফেলতে পারে বলে ধারণা ঢাবি প্রক্টরের। তবে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে কিনা তা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী খোঁজ নিচ্ছে বলে জানান তিনি। মধুর রেস্তোরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ভবনের সামনে অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁ। এটি '"মধুর ক্যান্টিন"' নামে অধিক পরিচিত। ১৩৭৯ বঙ্গাব্দের ২০শে বৈশাখ ক্যান্টিনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনীতি, সংস্কৃতি চর্চা এবং আড্ডার জন্য মধুর ক্যান্টিনের আলাদা খ্যাতি রয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তা কে হত্যা করে৷ তার স্মরণেই রেস্তোরাটির নামকরণ করা হয় মধুর ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের পাশে অবস্থিত গোল ঘরের সামনেই মধু’র একটি ভাস্কর্য রয়েছে। মধুদার স্মরণে মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গনেই নির্মিত হয়েছিল শহীদ মধুদার স্মৃতি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটির গায়ে লেখা রয়েছে ‘আমাদের প্রিয় মধুদা’ বাক্যটি। এর ভাস্কর হলেন মোঃ তৌফিক হোসেন খান। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তৎকালীন উপাচার্য এমাজ উদ্দীন আহমেদ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন। তবে পরবর্তীতে এটি পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং ২০০১ সালের ১৭ মার্চ পুনঃনির্মিত ভাস্কর্যের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য এ. কে আজাদ চৌধুরী।
×