ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় দফায় ৬১ পৌরসভায় ভোট ১৬ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ২২:১১, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

দ্বিতীয় দফায় ৬১ পৌরসভায় ভোট ১৬ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় দফায় ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে ১৬ জানুয়ারি। এ দফায় আগ্রহী প্রার্থীদের ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ২২ ডিসেম্বর বাছাই এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার বিকালের ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মোঃ আলমগীর দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য এসব পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করেন। এছাড়া এই ডিসেম্বরেই চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোট নেয়া হতে পারে বলে তিনি জানান। এজন্য নতুন করে তফসিল ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। শুধু ভোটর গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হবে। ইসি সচিব জানান, ৬১টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইভিএম এবং ৩২টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট হবে। সকাল আটটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। একই জেলার একাধিক পৌরসভায় নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্যালট এবং ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি জেলায় একইসঙ্গে ব্যালটে এবং ইভিএমে ভোট হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে আরও প্রায় ১৭০ পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। গত ২২ নবেম্বর প্রথম দফায় নির্বাচনের জন্য ২৫ পৌরসভায় তফসিল দেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় আগামী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচনে অংশ নিতে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ৩৩৩ জন প্রার্থী গত মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আজ এসব মনোনয়পত্র বাছাই করা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রত্যাহার শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন। আইনানুযায়ী পৌরসভায় ভোট হবে দলীয় ভিত্তিতে। ফলে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা তাদের দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন। ইতোমধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তাদের প্রার্থীর চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় যেসব পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ॥ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া, কুষ্টিয়ার সদর, মিরপুর, ভেড়ামারা, কুমারখালী, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, নারাণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুর সদর, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ, দিনাজপুর সদর, বিরামরপুর ও বীরগঞ্জ, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, মাগুরা সদর, ঢাকার সাভার. নওগাঁর নজিপুর, পাবনার ভাঙ্গড়া, ফরিদপুর, সাঁথিয়া, সুজানগর ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর কাকনহাট, ভাবনীগঞ্জ ও আড়ানী, সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ। ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা, নাটোরের নলডাঙ্গা, গোপালপুর ও গুরুদাসপুর, বগুড়ার শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও শান্তাাহার, সিরাজগঞ্জ সদর, উল্লাপাড়া, বেলকুচি, রায়পুর ও কাজিপুর, পিরোজপুর সদর, মেহেরপুরের গাংনী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, খাগড়াছড়ি সদর, বান্দরবানের লামা, নীলফামারীর সৈয়দপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, কুমিল্লার চান্দিনা ফেনীর দাগনভূঞা, কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়াচর, নরসিংদীর মনোহরদী, নোয়াখালীর বসুরহাট এবং বাগেরহাটের মোংলাপোর্ট। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মোহাঃ আলমগীর জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সভায় আলোচনা হয়েছে। এই নির্বাচনের জন্য নতুন করে তফসিল দেয়ার প্রয়োজন নেই। কেবল ভোটের তারিখ ঘোষণা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত হলে ভোটের তারিখ জানানো হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট হতে পারে। তবে কোনও কারণে ডিসেম্বরে সম্ভব না হলে জানুয়ারিতে হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোট অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইসির হাতে সময় আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
×