ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সগিরা মোর্শেদ হত্যা ৩০ বছর পর চার আসামির বিচার শুরু

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

সগিরা মোর্শেদ হত্যা ৩০ বছর পর চার আসামির বিচার শুরু

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ত্রিশ বছর আগের চাঞ্চল্যকর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দিয়ে বিচার শুরু করেছে আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ চার্জগঠনের আদেশ দেন। চার্জশীটভুক্ত আসামিরা হলেন নিহতের ভাসুর ডাঃ হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ডাঃ হাসান আলীর ভাড়াটে খুনী মারুফ রেজা। সব আসামিকে শুনানির জন্য কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। চার্জের আদেশের পর আবার কারাগারে পাঠানো হয়। ৩০ বছর পর জানা গেছে, তুচ্ছ কারণে সায়েদাতুল মাহমুদ ওরফে শাহীনের প্ররোচনায়ই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। গত ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে এ চার্জশীট দাখিল করেন। গত ৯ মার্চ একই আদালত চার্জশীট আমলে নিয়ে গত ১৫ মার্চ প্রথম চার্জগঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রমনা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী সগিরা মোর্শেদ ভিকারুন নিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে স্কুলের কাছেই রিক্সায় গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী আবদুস ছালাম চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশ মিন্টু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালে ৩ সেপ্টেম্বর চার্জশীট দাখিল করে। আদালতে বিচারও শুরু হয়। কিন্তু সাক্ষ্যগ্রহণের এক পর্যায়ে সাক্ষীরা মারুফ রেজা নামের এক ব্যক্তির নাম বললে আদালত পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মারুফ রেজা। এরপর গত বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি ২৬ জন তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করেন। সর্বশেষ গত বছর ১১ জুলাই হাইকোর্ট পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরই হত্যার আসল রহস্য বের হতে থাকে।
×