ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না ॥ গয়েশ্বর

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২ ডিসেম্বর ২০২০

নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না ॥ গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার মোগলটুলিতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমানের আজকে কিছুই নেই, তিনি কিছু রেখে যাননি। দেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে গরিব আর কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নেই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই নোটিশ পান। ভাড়া পরিশোধ করা যায় না। দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা উপার্জন, যা সম্পদ আছে বৈধভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তাহলে তার একাউন্ট সিজ করা হয় কেনো? কেনো তিনি একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। ঢাকা শহরে ওনার মতো একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় কীভাবে চলে, কীভাবে তার চিকিৎসা চলে? সরকারকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর বলেন, প্রতিহিংসা বাদ দেন। জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। এদেশ স্বাধীন হয়েছে একটি যুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে, রক্ত বিসর্জন দিয়ে, জীবন বিসর্জন দিয়ে। যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা তাদের রক্তকে অপমান করবেন না। আমি বলব, এবাউট টার্ণ। মোগলটুলি উচ্চ বিদ্যালয়ে জিয়াউর রহমানের নামের সাইনবোর্ডটা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। তা নাহলে যেদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, সেদিন ভাংচুর শুরু হবে, সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তখন আপনাদের থাকবে না। তাই স্বেচ্ছায় মানে মানে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। জনগনের ক্ষমতা জনগনের কাছে ফিরিয়ে দেন তাহলে মান ইজ্জত বাঁচবে। আর জনগন যদি ক্ষমতা থেকে নামায় মান-ইজ্জত সবই হারাবেন। গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমানকে ইচ্ছে করলে আড়াল করা যাবে না। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে কত স্মৃতিসৌধ, কত কিছু বানাচ্ছেন। সেগুলো রক্ষার স্বাথে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না। যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণেই জাতির সামনে তারা সেখানে আছে। তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন। মানুষের হৃদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে। স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সফু, দলের নেতা আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়ল, সংগঠনের নেতা সুলতান মো. নাসির উদ্দিন, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী প্রমুখ। গয়েশ্বর বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যার যার জায়গা থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ৫০ বছর পুর্তি পালন করবে। অযাচিতভাবে স্বাধীনতার চেতনায় যিনি বিশ্বাস করেন না, যিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না, তাকে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী বলে খেতাব দেয়ার কোন সুযোগ নেই। গয়েশ্বর বলেন, দশ মাস বয়স হলো করোনার। ১০ মাসের মধ্যে ১০ মিনিটের জন্যও প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবন থেকে বের হননি। তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি ঘরের বাইরে যান না। কিন্তু ১৮ কোটি মানুষ তো নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে বসে থাকতে পারে না। আমাদের অনেক সিনিয়র নেতা করোনায় প্রাণ দিয়েছেন। এখনও বিএনপির অনেক নেতাকর্মী করোনায় ভুগছেন। দেশের অনেক মানুষ এখন করোনায় আক্রান্ত। সরকার করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থ।
×