ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যযুদ্ধ ॥ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটি জবাব বেইজিংয়ের

প্রকাশিত: ১৪:২১, ২ ডিসেম্বর ২০২০

বাণিজ্যযুদ্ধ ॥ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরেকটি জবাব বেইজিংয়ের

অনলাইন ডেস্ক ॥ ‘কন্ট্রোলড আইটেম’ বা নিয়ন্ত্রিত বস্তু নামে আরও একগুচ্ছ পণ্য রপ্তানিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন। সামরিক প্রযুক্তিসহ যেসব পণ্য রপ্তানি চীনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, সেগুলো আটকাতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং। এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তাদের আরেকটি বাণিজ্যিক আঘাত বলেও মনে করছেন অনেকে। চীনা প্রযুক্তির ওপর ওয়াশিংটনের কড়াকড়িতে বিপাকে পড়েছে টিকটক, হুয়াওয়ে, টেনসেন্টের মতো জায়ান্টরা। গত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়া চীনের নতুন আইনে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লড়াই আরও তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের দিকে। তবে গতবছর তা তীব্র রূপ ধারণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাশাসন একঝাঁক চীনা প্রতিষ্ঠানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এই অভিযোগে যে, তারা চীন সরকারের কাছে গোপন তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অতিথি অধ্যাপক অ্যালেক্স ক্যাপ্রি বলেন, চীনের নতুন রপ্তানি আইন ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি যুদ্ধের একটি প্রতিক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে দেশটি তার নিজস্ব সুবিধাগুলো ঢাকতে চাইছে। তিনি বলেন, আমার কাছে আরেকটি বিষয় আকর্ষণীয় মনে হয়েছে; তা হলো- চীন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অ্যালগরিদমকে এই রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের অধীনে রেখেছে। চীন সরকার কারও সঙ্গে এআই ভাগাভাগি করতে চাইছে না। চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কয়েকটি কাটাগরিতে ‘নিয়ন্ত্রিত পণ্য’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্য রয়েছে পারমাণবিক, সামরিক সরঞ্জাম এবং সামরিক-বেসামরিক উভয় খাতে ব্যবহারযোগ্য পণ্য। জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ এমন সব পণ্য রপ্তানিতেও কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন সরকার। নিয়ন্ত্রিত পণ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যও এ নিয়মের আওতায় পড়েছে। নিয়ন্ত্রিত তালিকায় থাকা যেকোনও পণ্য রপ্তানি করতে চাইলে রপ্তানিকারকদের অবশ্যই লাইসেন্সের জন্য আগাম আবেদন করতে হবে। আইন ভঙ্গ করলে তার জন্য অভিযুক্ত ট্রানজেকশনের ১০গুণ জরিমানা হতে পারে। সূত্র: বিবিসি
×