করোনার দ্বিতীয় ঢেউও সামলাতে পারব ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের টিকার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা হচ্ছে। যে টিকা আগে আসবে, সেটাই আনার চেষ্টা করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে ভ্যাকসিন পাব আশা করি। তবে তারচেয়ে বেশি দরকার স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল এ্যান্ড এএসপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। তার বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ থেকে এইডস আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যখাত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমেই কমছে। এই করোনার সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। ফলে, আমাদের দেশে এইডস-এর সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের টিকাদান কর্মসূচীর সাফল্যের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে যত পুরস্কার পেয়ে দেশকে বিশ্ববাসীর নিকট সম্মানিত করেছেন তার অধিকাংশই তিনি পেয়েছেন স্বাস্থ্যখাতের সফলতার জন্য। স্বাস্থ্যখাত ইতোমধ্যেই পোলিও, টিটেনাস, যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচীর সাফল্যের কারণে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার ভ্যাকসিন হিরো হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ সময় এই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন প্রয়োগেও আগামীতে স্বাস্থ্যখাত সফল হবে।’ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও এখন আর তেমন সমস্যা হবে না। সরকারী-বেসরকারী উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করা হবে। কেননা, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় দেশের স্বাস্থ্যখাতের এখন সব ধরনের প্রস্তুতি হাতে রয়েছে। হাসপাতাল প্রস্তুতকরণ, শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণ, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সবই এখন প্রস্তুত। তাই দ্বিতীয় ঢেউ চলে এলেও তাকে সামলানো কঠিন হবে না। তবে, দেশের মানুষকেও একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। মাস্ক পড়ার গুরুত্ব অনুধাবন করেই সরকার ধীরে ধীরে কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে শুরু করবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলার কাজকে সহজ করতে এগিয়ে আসতে হবে।