ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে হ্যাটট্রিক হার ঢাকার

প্রকাশিত: ০১:১৪, ১ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে হ্যাটট্রিক হার ঢাকার

মোঃ মামুন রশীদ ॥ কাগজে-কলমে অনেক ভাল দল গড়লেও মাঠের পারফর্মেন্সে তার কোন ছিটেফোঁটা নেই। বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। সোমবার রাতে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে তারা ৩৭ রানে পরাজিত হয়েছে জেমকন খুলনার কাছে। আগে ব্যাট করে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে খুলনা। জবাবে খুলনার বোলারদের দাপুটে বোলিং ও ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় ১৯.২ ওভারে ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। টানা দুই হারের পর এর মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াল খুলনা। ৪ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। প্রথম জয়ের সন্ধানে টস জিতে আগে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি খুলনার, দলীয় ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারায় তারা। এদিনও সাকিব আল হাসান ব্যর্থ হয়েছেন, ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫৬ রানের দারুণ এক জুটিতে দলের বিপর্যয় এড়ান। ২৭ বলে ৪ চারে ২৯ রান করে ইমরুল আউট হলে রিয়াদের সঙ্গে আরিফুল হক ৩৫ রানের আরেকটি ছোট জুটি গড়েন। আরিফুল ১১ বলে ১৯ রানে ফিরে যান। তবে শেষ ওভার পর্যন্ত থেকে রিয়াদ অবশেষে ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৫ রান করার পর সাজঘরে ফেরেন। শেষদিকে শুভাগত হোম চৌধুরী ৫ বলে ১ চার, ১ ছক্কায় ১৫ রানে অপরাজিত থাকলে সম্মানজনক পুঁজি পায় খুলনা। ৮ উইকেটে ১৪৬ রান করে তারা। দুই পেসার রুবেল হোসেন ৩টি ও শফিকুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। জবাব দিতে নেমে দলীয় ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ঢাকা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিং করতে এসে মেডেনসহ একটি উইকেট তুলে নেন সাকিব। শুরু থেকেই তার বাঁহাতি স্পিনে কোণঠাসা ছিলেন ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। টানা দুই ওভার মেডেন দেন তিনি। প্রাথমিক বিপর্যয়ে চাপে পড়া ঢাকাকে টেনে তোলার একক প্রচেষ্টা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম করেছেন। ইয়াসির আলী রাব্বির সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে তার ৫৭ রানের জুটিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু দ্বাদশ ওভারে ইয়াসির ২৯ বলে ২ চারে ২১ রানে এবং দুই ওভার পরই মুশফিক ৩৫ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করে বিদায় নেন। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি ঢাকার ইনিংস। শেষ ৩৮ রানেই ৭ উইকেট হারায় তারা। অফস্পিনার শুভাগত ৩.২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। আর সাকিব ৪ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে শেষ করেন। তিনি ১৬টি ডট বল করেন। সাকিবের বোলিং থেকে মাত্র ৮টি সিঙ্গেলস এসেছে। ৪ বল বাকি থাকতেই ১০৯ রান্ েগুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। স্কোর ॥ জেমকন খুলনা ইনিংস- ১৪৬/৮; ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৪৫, ইমরুল ২৯, আরিফুল ১৯; রুবেল ৩/২৮, শফিকুল ২/৩৪)। বেক্সিমকো ঢাকা ইনিংস- ১০৯/১০; ১৯.২ ওভার (মুশফিক ৩৭, ইয়াসির ২১; শুভাগত ৩/১৩, শহীদুল ৩/৩০, হাসান ২/২২)। ফল ॥ জেমকন খুলনা ৩৭ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শুভাগত হোম চৌধুরী (জেমকন খুলনা)।
×