ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে শাহ আলী বাগদাদী মাদ্রাসা অধ্যক্ষের থানায় জিডি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১ ডিসেম্বর ২০২০

পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে শাহ আলী বাগদাদী মাদ্রাসা অধ্যক্ষের থানায় জিডি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদ্রাসার পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকার মিরপুরের হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রহ.) কামিল এম এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহ ঢাকার দারুস সালাম থানায় একটি জিডি করেছেন। মাদ্রাসাটিতে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে সেই জিডিতে। এমন আশঙ্কায় ইতোপূর্বে মাদ্রাসাটিতে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। মূলত ওই ঘটনার পরই জিডিটি করা হয়। গত ২৮ নবেম্বর ঢাকার দারুস সালাম থানায় জিডিটি দায়ের করেন হযরত শাহ্ আলী বাগদাদী (রহ.) কামিল এম এ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহ। নম্বর ১৫৩৪। জিডিটি তিনি অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের কারণে মাদ্রাসাটি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আফজাল হুসাইন। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন রয়েছে। আদালত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন, তাকেই দায়িত্ব পালনের আদেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে মাদ্রাসায় ভেতরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারই ধাবাহিকতায় গত ২১ ও ২৫ নবেম্বর বরখাস্তকৃত উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আফজাল হুসাইন তার দলীয় লোকজন নিয়ে মাদ্রাসা দখলে নিয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পাহারা বসায় শেষ পর্যন্ত আর সেই ঘটনা ঘটেনি। তবে আশঙ্কা রয়েছে। আফজাল হুসাইন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহকে তার দলীয় বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি ও জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি পরিবার নিয়ে মাদ্রাসার ভেতরে বসবাস করেন। এজন্য তিনি ও তার পরিবার খুবই আতঙ্কিত। এ ব্যাপারে আফজাল হোসেনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে অভিযোগে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে এম সাইফুল্লাহর দাবি, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। ওইদিন হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রহ.) কামিল মাদ্রাসা থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আফজাল হুসাইন, স্থানীয় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর হামলা করেছিলেন। তাকে মারাত্মকভাবে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের মার্কেটের অন্য লোকজন জড়ো হলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা দুই মাস তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তার সারা শরীরে এখনও মারের সেই চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে উপাধ্যক্ষ আফজাল হুসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, এসব মিথ্যা জিডি দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঢাকার জেলা প্রশাসক সার্বিক ব্যবস্থা নিবেন।
×