বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘রাজনৈতিকভাবে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই যুগ যুগ ধরে ধর্মব্যবসায়ীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এবারও তাই করছে। এরা কোন দল কিংবা ব্যক্তির নয়, দেশ ও জাতির শত্রু। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।’
দেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারা এ কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে আবারও ধর্মব্যবসায়ীদের মাঠে নামিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী কুচক্রী মহল।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে একটি গোষ্ঠীর বিরোধিতা প্রসঙ্গে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আরও বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা ব্যর্থ হয়, তারাই যুগ যুগ ধরে ধর্মব্যবসায়ীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এবারও তাই করছে। এদেশের মানুষ ধর্মপরায়ন কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। ধর্মান্ধরা দল কিংবা ব্যক্তির নয়, দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান বিরোধীদের সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার পথে যারা বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার কিংবা আপোস নয়, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস এমপির সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, জাতীয় পার্টি- জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী এমপিসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য দেন।