ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইন থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০

অনলাইন থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছেন অথচ মন্ত্রণালয়ের করা সফটওয়্যারের তালিকায় নাম আসেনি অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার। এমন মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) কাছে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ২৫ নবেম্বর সকল ডিসি ও ইউএনওকে এ চিঠি পাঠায় মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তালিকা পাঠাতে হবে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সফটওয়্যারে তালিকা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি ভাতা দিচ্ছে সরকার। এতে দেখা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে করা নতুন এই অনলাইন ব্যবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা আগের তালিকার চেয়ে ২১ হাজারের মতো কমে গেছে। এই অবস্থায় আগে ভাতা পেয়েছেন এখন সফটওয়্যারের আওতায় আসেননি, (এন্ট্রি বহির্ভূত) এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা তলব করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যসম্বলিত ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) ওয়েবসাইটে এন্ট্রি করা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অক্টোবর-নবেম্বর মাসের সম্মানীভাতা বরাদ্দ দেয়া হযেছে। অন্যদিকে এর আগে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের জন্য সম্মানীভাতা বরাদ্দ দেয়া হয়। দুটি আলাদা বরাদ্দ পর্যালোচনায় দেখা যায়, জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে বরাদ্দ করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা এমআইএসে এন্ট্রি করা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তুলনায় অনেক বেশি। এই পরিপ্রেক্ষিতে যে বীর মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভাতা দেয়া হয়েছিল অথচ এমআইএসের তথ্য এন্ট্রি করা হয়নি এমন সম্মানী ভাতাভোগীদের তথ্যাদি আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এমএস ওয়ার্ড ফাইল এবং পিডিএফ আকারে মন্ত্রণালয়ের ই-মেলে পাঠানোর জন্য ডিসি ও ইউএনওদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে একটি ছকও তৈরি করে দেয়া হয়েছে। এমআইএসে এন্ট্রি করা নয় এরূপ ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধার নাম, পিতার নাম এবং ঠিকানা রয়েছে ছকে। ওই ভাতাভোগীকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে প্রমাণের ভিত্তিতে সম্মানীভাতা প্রদত্ত তার বিবরণ (ক্রমিক নম্বরসহ), এমআইএস-এ এন্ট্রি না করার কারণ এবং মন্তব্য- এসব তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা পাওয়ার পর যাচাই-বাছাই করা হবে। যারা অনিয়ম করে এতদিন ভাতা নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসনের তালিকার ভিত্তিতেই ১ লাখ ৯২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা পাঠানো হতো। কিন্তু সফটওয়্যারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার পর সংখ্যা হয় এক লাখ ৭১ হাজার। বর্তমানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
×