ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কপিলমুনি মুক্ত দিবসে সরকারীভাবে কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ১ ডিসেম্বর ২০২০

কপিলমুনি মুক্ত দিবসে সরকারীভাবে কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক রণাঙ্গন কপিলমুনি যুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে সরকারী কর্মসূচী গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। সোমবার কপিলমুনিবাসীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ আশ্বাস দেন। কপিলমুনির ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দফতরে ওই সাক্ষাত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা সাকিলা পারভীন, সিনিয়র সাংবাদিক পার্থ প্রতীম ভট্টাচার্য, শিক্ষক প্রদীপ কুমার মণ্ডল, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক জিএম আমিনুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ হারুন অর রশীদ ও অনির্বাণ লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ। সাক্ষাতকালে মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় কপিলমুনি যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রকল্প গ্রহণের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দুই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি আগামী ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে আয়োজিত কর্মসূচীতে অংশগ্রহণের আশ্বাস দেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, কপিলমুনি যুদ্ধক্ষেত্র সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি মহাত্মা রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু প্রতিষ্ঠিত ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কপিলমুনির উন্নয়নে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এর আগে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর সঙ্গে তার ন্যাম ভবনের বাসায় সাক্ষাত করেন। তিনি জানান, কপিলমুনি মুক্ত দিবসকে সামনে রেখে বড় ধরনের কর্মসূচী গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া কপিলমুনি যুদ্ধের ঘটনাগুলো সরকারী নথিতে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরার এবং তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মন্ত্রীর কাছে দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, খুলনার পাইকগাছার কপিলমুনি ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি জনপদ। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনে সমৃদ্ধ কপিলমুনি দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্রও। মহান মুক্তিযুদ্ধেও ছিল কপিলমুনিবাসীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। কপিলমুনিতে সশস্ত্র যুদ্ধের এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর যখন সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে সেখানে কপিলমুনি যুদ্ধক্ষেত্রের রাজাকার ক্যাম্প থেকে আটক ১৫১ যুদ্ধাপরাধীকে গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত দিবসে। তাই দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারী কর্মসূচী নেয়া হবে বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী কপিলমুনিবাসী প্রত্যাশা করে।
×