ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত ॥ মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাকার দিনরাত ॥ মারুফ রায়হান

ভাস্কর্য ভাঙার দল এখন ঢাকা দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। জনকণ্ঠের রিপোর্টে এসেছে যে, মাওলানা মামুনুল হকের পর হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীও হুমকি দিলেন এই বলে যে, যে কোন দল ভাস্কর্য বসালে তা টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেয়া হবে। মূলত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে হেফাজত আমির বাবুনগরী সর্বশেষ ঔদ্ধত্যপূর্ণ এমন বক্তব্য দিলেন, যা সাংবিধানিকভাবে ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে একটি ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যে অনাহূত বিতর্কের সৃষ্টি করছে তার নেপথ্যে ভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। শুক্রবার রাতে হাটহাজারী সরকারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেফাজত নেতার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের পর শনিবার সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারী বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। বস্তির আগুন নিঃস্ব মানুষ এবার মৌসুমের শুরুতেই সোমবার (২৩ নবেম্বর) রাত থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৭ ঘণ্টায় রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তি, মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বিহারিপট্টি ও মিরপুরের কালশী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বাউনিয়া বাঁধের বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে রাজধানীর ভাসানটেকের সিআরপির পাশের বস্তিতে। এতে শতাধিক ঘর পুড়ে যায় এবং খালের পানিতে পড়ে দুই শিশু মারা যায়। সরকারী জায়গায় গড়ে ওঠা বস্তিটি ‘জাহাঙ্গীর’ ও ‘আবুলের বস্তি’ নামে পরিচিত। ৯ মাস পরে সেখানে দেখা যায় বস্তি এখন নিশ্চিহ্নপ্রায়। পুড়ে যাওয়া অংশসহ অনেকটা জায়গায় দেয়াল দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। আগুনের মতো বড় সাম্যবাদী আর হয় না। ছেঁড়া কাঁথা নাকি মহামূল্যবান কার্পেট, ঝুপড়ির দরিদ্রজন নাকি পাঁচতারকা হাসপাতালের বিত্তবান রোগী- হিসাবনিকাশে যায় না, একেবারে ভস্ম করে ছাড়ে। পঞ্চাশ বছর আগেও গ্রামের কুটিলচক্র প্রতিপক্ষকে জব্দ করতে ওই অন্ধ দানবের শরণাপন্ন হতো। আগেকার দিনের সিনেমা-থিয়েটারে এসব দেখা যায়। বিজয়ী বা ‘বেয়াদব’ কাউকে শায়েস্তা করার জন্য প্রত্যাখ্যাত বা বঞ্চিতজন তার ঘরে আগুন দিতো। আগুনে পোড়া, কিন্তু প্রাণে বেঁচে যাওয়া মানুষ ঈর্ষা করে মৃতদের। কড়ে আঙুল পরিমাণও যে-দেহ আগুনের আঘাত পেয়েছে, শুধু সেই জানে তার যন্ত্রণা কতোটা স্বতন্ত্র ও শক্তিধর। রাজনীতিতে আগুন নিয়ে খেলা সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে থাকে একাধিক বাকপটু দল, যদিও তা সত্যিকারের অগ্নিশলাকা নিয়ে নয়, প্রতীকী অর্থে। কিন্তু একদিন রাজনীতিও যে হয়ে উঠবে সন্ত্রাসের সমার্থক শব্দ, আর আক্ষরিক অর্থে আগুনের ব্যবহার (পেট্রোল বোমা) লক্ষ্য করা যাবে, সেটি স্বাধীনতাযুদ্ধ প্রত্যক্ষকারী প্রজন্ম ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি। সে যাক। আমাদের শহরে আগুনের মোক্ষম প্রয়োগটি দেখা যায় বস্তির পায়ের তলার মাটি দখলে নেবার অভিপ্রায়ে। সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে একের পর এক আগুন লাগার ঘটনার বিশদ পাঠ নিতে গিয়ে বছর তিনেক আগের এ সংক্রান্ত একটি লেখায় চোখ আটকে গেল। আমাদের একজন সমাজ বিশ্লেষক বলছেন: ‘মহাখালী এলাকাতে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বস্তি ও বাসস্থানে আগুন লেগেছে। অনেকে এটাকে বলছে ‘আগুন থেরাপি’, অর্থাৎ গরিব এখন ক্ষত বা রোগের মতো, সেটা সারানোয় আগুন ব্যবহার করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের গরিবের সহ্য ক্ষমতা এতই বেশি যে আগুনে ছ্যাঁকা খাওয়ার পরও তারা রয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আগুনে কাজ হচ্ছে- এমনটা বলা যায় না।’ এক শহরেরই দেখি বিচিত্র মানস-রূপ! বনানীর বহুতল ভবনে আগুন ছোবল দিলে তার আঁচ কোটি মানুষের হৃৎপিণ্ডে এসে লেগেছিল। পক্ষান্তরে বস্তির আগুনের খবর খুঁতখুঁতে পাঠকও এড়িয়ে যায়। আধুনিক মানুষ বড্ডো নির্বিকার, আত্মকেন্দ্রিক বা মহাস্বার্থপর। তা না হয় জানা আছে। কিন্তু প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ইঁদুর দৌড়ে শামিল লাখ লাখ নগরবাসীর কাছে আর দশটা সংবাদের মতোই বস্তিতে আগুন লাগা (কিংবা আগুন লাগানো) স্রেফ একটা সাধারণ সংবাদই কেন হবে! একই ধরনের তথ্য বারবার শুনতে পেলে শ্রুতিরও কি বিকর্ষণ জাগে। কর্ণকূহরেরই তবে নিন্দা প্রাপ্য! হৃদয় তো অনেক গহন-গভীরের বিষয়। অগ্নিকাণ্ডে অভিনব সংবেদনশীল কোনো উপাদান না থাকলে সে খবর নিয়ে একমাত্র ইস্যু-সন্ধানী টিভি চ্যানেল ছাড়া আর কোথাও তরঙ্গ ওঠে না। মানববন্ধন, অগ্নিঝরা প্রতিবাদ- এসব কখনো কি হয়েছে? ড্রইংরুমে কালে কালে প্রকাণ্ড হতে থাকা স্মার্ট ছোটপর্দায় পুড়ে যাওয়া বস্তি অবলোকন করে মূল্যবান সময়ের অপচয় কেই বা করতে চায়। তাছাড়া পাষাণ শহরের প্রায় রোবট-মানুষ নিজের দমটুকু বাঁচিয়ে রাখাতেই ব্যস্ত, বস্তির আগুনের তাপ তার উপেক্ষাই পায়! তবে বস্তিকে মাদকসেবী আর বহুমাত্রিক অপরাধের আখড়া আখ্যা দিতে কারোরই আপত্তি দেখি না। এই ধারা টিকিয়ে রাখার ছোটমাপের গডফাদারেরা প্রায়শই অদৃশ্য থাকে। একেকটা অগ্নিকাণ্ডে টলে ওঠে কেবল কালশি-কড়াইল-মহাখালির বস্তিবাসীদের সমগ্র অস্তিত্ব, যাদের আবেগ-অনুভূতিসম্পন্ন রক্তমাংসের মানুষ বলে স্বীকারই করতে চায় না দানব পুঁজি ও বিকট বাণিজ্য। আবাসন বা বসতি যাই বলি ‘বস্তি’ হলো শ্রমজীবী দরিদ্র মানুষের কাছে আঁটোসাটো অথচ দুদণ্ড শান্তির বিশ্রামশয্যা। যে কারখানার মালিক কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন, তার বিলাসী সৌখিন জীবনযাপনের যোগানে নিশ্চিতভাবে বস্তিরই এক বা একাধিক বাশিন্দার অবদান থাকে। শস্তায় শ্রম কিনে তার উৎপাদন উচ্চমূল্যে বেচে বিরাট মুনাফা অর্জনের সংস্কৃতি টিকে আছে শুধু আমাদের মতন কিছু দেশেই। করোনার কামড়ের আগে পর্যন্ত বিগত এক দশকে প্রতিবছর ঢাকা মহানগরীতে অন্ততপক্ষে ছয় লাখ করে নতুন আগন্তুক যুক্ত হওয়ার কথা শোনা যায়। কালজয়ী ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চৈতালী ঘূর্ণি’ নামের উপন্যাসের কৃৃষক গোষ্ঠি ও তার পত্নী দামিনির মতো শতসহস্র নারী ও পুরুষ আজও গ্রাম থেকে শহরে এসে কোনো একটা কাজে লেগে যায় ক্ষুণ্নিবৃত্তির অনিবার্য তাগিদে। রাজধানীর সহজে জোটানো দৃশ্যমান কাজের তালিকায় আছে রিক্সাচালনা, পোশাক কারখানা অথবা বাসাবাড়ির কাজ। একদিন রোজগার না হলে যাদের আহার জোটে না তারা রাতে ঘুমোয় কোথায়? আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্যময় ‘বাড়ি’ বস্তি ছাড়া আর কি। তাই অনেক বুদ্ধিমান জমির মালিক ভবন প্রতিষ্ঠার পেছনে বিপুল অর্থ ব্যয় না করে ছোট বস্তি গড়েন। ফ্ল্যাটের তুলনায় তাতে লাভ কম বলে ভাবার কিছু নেই। অন্যদিকে সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা বস্তির নিয়ন্ত্রণ থাকে সরকারি দল করাদের হাতে। সেখানেও গ্রুপিং, আর তাতেই আগুনবাজদের বাজিমাৎ করার কসরত। এনজিওদের কাছে বস্তির নানা পরিসংখ্যান থাকে। গবেষকরাও আজকাল সরেজমিন সাংবাদিকের মতো হিউম্যান স্টোরি লেখেন কথাশিল্পীর কলম ধার নিয়ে। যা পড়ে শুধু শুধু অল্পবয়সীদের মন খারাপ হয়। তবু বস্তিবাসীকে ঠিক মানুষ বলে সিস্টেম মানতে চায় না। শহরের এ এক অতিনিষ্ঠুর দিক। এ অমানবিকতায় জমির চাইতে মানুষের মূল্য অবশ্যই বেশি। অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের ঠুনকো বিপজ্জনক পাইপের চাইতে যারা মানুষের জীবনের দাম কম বলে ভাবে, তাদেরকে আমরা কি এখনও মানুষ নামে ডাকবো? শুরুতে আগুনকে সাম্যবাদী বলেছি, এখন লিখছি, বস্তি হলো ফুলে ওঠা অন্তর-ফাঁপা শহরের অসাম্যের প্রতীক। নতুন একটি দিন এলে তার খোরাকি জোগানোর জন্য যারা কাজে বেরুতে বাধ্য, উটকো অনল যখন তাদের সব কিছু, পরনের কাপড় থেকে ভাতের থালা পর্যন্ত কেড়ে নেয়, সেই আশ্রয়হারানো নিঃস্ব বিপন্ন মানুষকে দিব্যি উপেক্ষা করে যাই আমরা। আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তি এবং তার ভেতরের মানবকল্যাণের ব্রতটির স্বরূপ একেবারে নগ্ন হয়ে যায় অধুনা বাস্তবতায়। হাজার হাজার মানুষ কোথায় যাবে, রাতে কোথায় ঘুমোবে, শীতের ভেতর শিশুটি কম্বল পাবেই বা কোথায়- এইসব দুশ্চিন্তা আজকাল কারা করে? এই যে মানুষের পাশে এসে মানুষ দঁড়াচ্ছে না, তরুণদের সংগঠনগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ছে না, জনপ্রতিনিধির কথা মুলতুবী থাক, মোটামুটি দায়িত্ববান স্থানীয় ব্যক্তিত্ব, কিংবা বিত্তবান দাতা সবাই চোখ বুজে রাখছে, মন সরিয়ে রাখছে, দায়িত্ব এড়িয়ে সরে পড়ছে নিজেরই শুভ সত্তাটির আহ্বান থেকে, তাতে করে আসমান ভেঙে পড়ছে না, জমিনও দুভাগ হচ্ছে না। এমন একটা সমাজ কারা গড়েছে? আমি বা আপনি কি তার দায় এড়াতে পারি! চতুরতা কিংবা অদম্য অবৈধ উপার্জন, বস্তিতে আগুন লাগার নেপথ্য রাক্ষস যেটিই হোক, হাজার হাজার অসহায় কপর্দকহীন বিপদগ্রস্ত নিরন্ন মানুষের তাৎক্ষণিক বিপর্যয় নাগরিক সুশীলদের সমাজে তুচ্ছ তুচ্ছ আর তুচ্ছ। এই ঝলমল ফুর্তিবাজ তিলোত্তমা মহানগরীর তাতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হয় না। কবরের নিস্তব্ধতা বুকের ভেতর নিয়ে বস্তির কোনো পরিবারপ্রধান থাকুক না বিনিদ্র, আমাদের নেটফ্লিক্স দেখায় যেন বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত না ঘটে। পদ্মপাতায় জলের জীবন এভাবেই উবে যায় এই চিড়িয়াখানা ঢাকায়! আলী যাকেরও চলে গেলেন! দেশের শক্তিমান মঞ্চাভিনেতা আলী যাকের জীবনের নাট্যমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন। মারণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি পরাস্ত হননি, কিন্তু করোনাভাইরাসের কামড় থেকে পরিত্রাণ পেলেন না। প্রায় পাঁচ দশক ধরে অভিনয়, নাট্য নির্দেশনা দেয়া আলী যাকেরের রাজনৈতিক জীবনও সমৃদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেয়া মানুষটি মুক্তিযুদ্ধের সময় রাখেন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আলী যাকের প্রথমে ভারতে গিয়ে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। চলচ্চিত্র পরিচালক ও সাংবাদিক আলমগীর কবির তাকে উদ্বুদ্ধ করেন প্রচারযুদ্ধে অংশ নিতে। সেই সময়ে আলী যাকের যুক্ত হন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক আলী যাকের আট নম্বর সেক্টরে যুদ্ধও করেছেন। সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গড়ে তোলায় তাঁর রয়েছে প্রশংসনীয় অবদান। তাঁর পড়াশোনাও ছিল ঈর্ষণীয়। মানসম্পন্ন আলোকচিত্র তুলেছেন বহু। আলী যাকের ছিলেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির পূর্ণ সদস্য। দেশীয় বিজ্ঞাপন শিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। বিশ্বখ্যাত বিদেশী নাটকের বাংলা রূপান্তর আর নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন আলী যাকের। মঞ্চনাটকে তিনি একাই একটি ধারার সূচনা করেছিলেন। স্মরণযোগ্য মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে দেশে নাট্যচর্চার দারুণ সূচনা হয়েছিল আলী যাকের, মামুনুর রশীদ এবং তাঁদের সহযোদ্ধা বন্ধুদের মাধ্যমেই। মঞ্চে নূরলদীন, গ্যালিলিও ও দেওয়ান গাজীর চরিত্রে আলী যাকেরের অভিনয় দর্শক মনে রাখবে। আমরা জানি নশ্বর দেহ লোকান্তিরিত হয়, কিন্তু গুণীজন বেঁচে থাকেন তাঁর কর্মের মাঝে। অভিনয় ও সৃজনশীল কর্মের মধ্য দিয়ে এদেশের অগণিত দর্শক শ্রোতার হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন আলী যাকের, এতে কোন সন্দেহ নেই। সোনার বাংলায় গোল্ডেন মনির র্যাবের অভিযানে বিপুল অর্থসহ গ্রেফতারের পর গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন মনির হোসেন, যাকে মেরুল বাড্ডার মানুষ ‘গোল্ডেন মনির’ নামেই চেনে। এই নামকরণের সঙ্গে স্বর্ণের ব্যবসার বিষয়টি জড়িত হলেও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি মনিরকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বলে মানতে অস্বীকার করেছে। র্যাব জানিয়েছে, ব্যবসা নয়, কার্যত স্বর্ণ চোরাচালানই ছিল মনিরের ব্যবসা; পরে তিনি জড়িত হন জমির ব্যবসায়। গামছা বিক্রেতা থেকে জমির ব্যবসার ‘মাফিয়া’ হয়ে ওঠা মনিরের বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়টিও এই অভিযানের পর সামনে এসেছে। বিএনপির সঙ্গে মনিরের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা। মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে র্যাব আকস্মিক অভিযান শুরু করে। ওই বাড়ি থেকে ৯ লাখ টাকা মূল্যমানের বিদেশী মুদ্রাসহ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা, চার লিটার মদ, ৮ কেজি স্বর্ণ, একটি বিদেশী পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথা জানানো হয়। ২৯ নবেম্বর ২০২০ [email protected]
×