ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ধৃষ্টতাপূর্ণ হুমকির প্রতিবাদে স্বাধীনতা চত্বরে ৬০ সংগঠনের সমাবেশের ডাক

প্রকাশিত: ১৭:১১, ৩০ নভেম্বর ২০২০

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ধৃষ্টতাপূর্ণ হুমকির প্রতিবাদে স্বাধীনতা চত্বরে ৬০ সংগঠনের সমাবেশের ডাক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য এবং সংবিধানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ধৃষ্টতাপূর্ণ হুমকির প্রতিবাদে স্বাধীনতা চত্বর (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঘিরে এক মানববন্ধন ও সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। আজ বিজয়ের মাসের প্রথম দিন বিকেল ৩টায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ধর্মীয়, জাতিগত, শিশু, কিশোর, ছাত্র, যুব, নারী সংগঠন এবং রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের পরিবারের ৬০টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, একই সময়ে সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এ কর্মসূচী পালন করা হবে। ঢাকায় মৎস ভবন থেকে শুরু করে এই মানববন্ধন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ ও টিএসসি হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে অবস্থান করবে। মানববন্ধন ও সমাবেশের মূল দাবী হচ্ছেÑ অবিলম্বে জাতির পিতা এবং বাংলাদেশের সংবিধান অবমাননাকারী মামুনুল-বাবুনগরী গংকে গ্রেফতার করতে হবে এবং বাংলাদশে জামায়াত-হেফাজতের মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের নাগরিকদের দেশব্যাপী মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী এই মানবন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানানেহয়েছে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে করোনাকালীন বিধিনিষেধ মান্য করা এবং মাস্ক পরে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। জানতে চাইলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল বলেন, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সারাদেশে চলছে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। ঠিক এই সময়ে হেফাজত সহ উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির জনকের ভাস্কর্য নির্মাণ করতে বাঁধা দিচ্ছে। তারা প্রকাশ্যে ভাস্কর্য টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেয়ার হুমকি প্রদর্শণ করছে। অথচ সরকার তাদের কিছু বলছে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্টীর আস্ফালন কোন ভাবেই সহ্য করা হবে না। মানুষ সোচ্চার হয়েছে। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকেই প্রতিবাদ করবে। এরি ধারাবাহিকতায় আমরা কর্মসূচী আহ্বান করেছি। বলতে চাই, উগ্রবাদীদের সঙ্গে আর কোন আপোস নয়। এবার সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে না। আহ্বানকারী সংগঠনসমূহের মধ্যে রয়েছে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এসোসিয়েশন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, প্রজন্ম ’৭১, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, ইতিহাস সম্মিলনী, জাতীয় কবিতা পরিষদ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা সংসদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), জাতীয় যুব জোট, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ কেন্দ্র, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয় গণসম্মিলন, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ, ’৭২-এর সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ), বাংলাদেশ ফার্মাসিস্ট ফোরাম, গৌরব ’৭১, অপরাজেয় বাংলা, মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি পাঠাগার, কর্মজীবী নারী, জাতীয় নারী জোট, নারী মুক্তি সংসদ, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ (বাংলাদেশ চাপ্টার), জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা, সেকুলার ইউনিটি বাংলাদেশ, ইউথ ফর ডেমোক্রেসী এন্ড ডেভলপমেন্ট, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঘাসফুল শিশু কিশোর সংগঠন, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ।
×