ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান

প্রকাশিত: ২২:০৫, ৩০ নভেম্বর ২০২০

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাম্রাজ্যবাদ ও ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই। মনে রাখতে হবে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের ভয়াবহ উত্থান চলছে। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে নিজেদের মতো করে গোটা বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। এই প্রেক্ষাপটে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সময়ের প্রয়োজনে সবকিছু ভুলে অসাম্প্রদায়িক শক্তি নিয়ে নেমে যেতে হবে রাজপথে। নানা কর্মসূচী ও মতামত তুলে ধরার মাধ্যমে জানান দিতে হবে আমরা বসে নেই, সোচ্চার। রবিবার ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ‘হান্ড্রেড ইয়ার্স অব কমিউনিস্ট মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া : দ্য স্ট্রাগল এগেইন্সট ইম্পেরিয়েলিজম এ্যান্ড কমিউনিজম ফর সেকুলার ডেমোক্র্যাটিক সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এতে ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে বাম ও প্রগতিশীল নেতারা অংশ নেন। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ওয়েবিনার পরিচালনা করেন, পলিটব্যুরোর অন্যতম নেতা ড. সুশান্ত দাস। ওয়েবিনারে মূলপত্র উত্থাপন করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশ নেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআইএম)-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল, পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ডঃ আয়াজ মোহাম্মদ, সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের আন্তর্জাতিক কমিটির ইনচার্জ জি দেবরাজন। মূলপত্রে ফজলে হোসেন বাদশা বাংলাদেশে বামপন্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরেন। বিশেষ করে তেভাগা আন্দোলন, টংকা আন্দোলন, নানকার আন্দোলন, উল্লাপাড়া আন্দোলন, ত্রিপুরা ট্রাইবল আন্দোলনসহ আরও বহু আন্দোলন। শ্রমিক শ্রেণী ব্রিটিশ শাসনবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সে কথাও মূল প্রবন্ধে উল্লেখ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির এই সংসদ সদস্য। কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠার পর শতবর্ষ ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের কমিউনিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন একথা উল্লেখ করে সীতারাম ইয়েচুরি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯২০ সালে ভারত উপমহাদেশে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হলেও তা পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিস্তার লাভ করে। ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী বর্তমানে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছে। মাধব কুমার নেপাল তার বক্তৃতায় বলেন, শতবর্ষে দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলন ঐতিহাসিক, দ্বান্দ্বিক ও বস্তুবাদী ধারায় পার করেছে। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রভাব ফেলেছিল। ড. আয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠা হয়, ড. সাজ্জাদ জহির সেই সময় পার্টির নেতৃত্ব দেন এবং গোপনে তিনি শ্রমিক ও কৃষকের মধ্যে পার্টি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।
×