ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ২৯ নভেম্বর ২০২০

আমরা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রথম কারণ হলো আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। আমরা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি, আমরা মাস্ক পরছি না—আমাদের বেশি আত্মবিশ্বাস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখ লাখ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যে কোনো সময় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও করোনা রোগীর চিকিৎসায় শয্যা দ্বিগুণ করার পরামর্শ দেন তিনি। আজ রবিবার (২৯ নবেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগ বালাই হয়। এ রোগ বালাইয়ের কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। এগুলোর জন্য সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে প্রথম সংক্রমণ মোকাবিলা করেছেন; একই সঙ্গে কোভিড, নন কোভিড ও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করবেন। একই সঙ্গে কোভিড, নন কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যে কোনো ভ্যাকসিন বাজারে এলে আমরা প্রথম ধাপে পাব। সরকারি হাসপাতালে যদি টিকা দেওয়া হয় তাহলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচাল আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, পৃথিবীতে যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়, বাংলাদেশের মানুষ যদি ভ্যাকসিন পায় তাহলে অবশ্যই সবাই সেই ভ্যাকসিন পাবেন। তবে সময় লাগবে। দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি কমানোর অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় আরো বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নুর, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) সভাপতি এম এ মতিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
×