ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি ইথিওপীয় প্রধানমন্ত্রীর, সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২৯ নভেম্বর ২০২০

মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি ইথিওপীয় প্রধানমন্ত্রীর, সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ দাবি করেছেন, টাইগ্রেতে তাদের সামরিক অভিযান সম্পন্ন হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সেনারা এর আঞ্চলিক রাজধানী মেকেল্লের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। শনিবার এ ঘোষণা দেন তিনি। তবে টাইগ্রে পিপল’স লিবারেশন ফ্রন্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা হাল ছেড়ে দিচ্ছে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। মেকেল্লেতে অবস্থিত উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক বাহিনীর সদর দফতরে হামলার অভিযোগ এনে গত ৪ নভেম্বর টিপিএলএফ’র বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন আবি। গত তিন সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট পার্টির (টিপিএলএফ) মধ্যে লড়াই চলছে। ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া অঞ্চলটি থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ সুদানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪৪ হাজার হাজার মানুষ। শনিবার টুইটারে দেওয়া বিবৃতিতে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, ‘এটা জানাতে পেরে আমি খুশি যে আমরা টাইগ্রে অঞ্চলে সামরিক অভিযান সমাপ্ত ও বন্ধ করে দিয়েছি। ‘এর এক ঘণ্টারও কম সময় আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে আবি বলেন, ‘মেকেলে শহরের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ এখন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে।’ তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ টিপিএলএফ। বাহিনীটির নেতা ডেবরেটসিয়ন গেব্রেমিচায়েল রয়টার্সকে বলেন, ‘তাদের নৃশংসতা আমাদেরকে আরও বেশি করে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’ এ ব্যাপারে ইথিওপিয়া সরকারের তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী আবি তার বিবৃতিতে বলেছেন, টিপিএলএফ-এর ‘অপরাধীদের’ খুঁজে বের করে আটক করা হবে। আদালেতের মুখোমুখি করা হবে তাদের। এখন পর্যন্ত টিপিএলএফ-এর কেউ আত্মসমর্পণ করেছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে ডেবরেটসিয়ান বলেছেন, মেকেল্লে থেকে টিপিএলএফ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ইথিওপিয়ার নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত নাম। তবে নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে শান্তি ফেরাতে তেমন পদক্ষেপ নেননি তিনি। উল্টো ব্যাপক রাজনৈতিক সংস্কারের নামে টাইগ্রেয়ানদের কোণঠাসা করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
×