ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাসদের রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৯ নভেম্বর ২০২০

জাসদের রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য সেবা খাতকে শক্তিশালী করা, দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-ধর্ষক-নির্যাতক-গুণ্ডা-অপরাধীদের সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করার দাবিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে জুম এ্যাপ ব্যবহার করে সভাটিকে ভার্চুয়াল সভায় পরিণত করা হয়। অংশগ্রহণকারী সদস্যবৃন্দ ঢাকা ও বিভিন্ন জেলায় নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে এ জুম সভায় যুক্ত হন। দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় উত্থাপনের জন্য সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপির খসড়া রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্ট পূর্বেই সদস্যদের কাছে অনলাইনে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী সদস্যবৃন্দ সাধারণ সম্পাদক উত্থাপিত খসড়া রাজনৈতিক-সাংগঠনিক রিপোর্টের ওপর আলোচনা এবং মতামত দেন। অংশগ্রহণকারীদের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতভাবে রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হয়। সভার প্রস্তাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্য সেবাখাতকে শক্তিশালী করার দাবি জানানো হয়। করোনার অর্থনৈতিক অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন-অসহায়-দরিদ্র মানুষ বাঁচাতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্প্রসারিত ও জোরদার করা, বাজার সিন্ডিকেট দমন করা, পাটকল-চিনিকলসহ শিল্প কলকারখানা বন্ধ না করার দাবি জানান নেতারা। তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ-লুটেরা-ধর্ষক-নির্যাতক-গুণ্ডা-অপরাধীদের সিন্ডিকেট ধ্বংস করতে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। সরকারকে এ ব্যাপারে আরও যত্নশীল হতে হবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধানবিরোধী, নারী বিদ্বেষী ধর্মান্ধ রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করার দাবিতে জাসদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, অনেক আগে থেকেই করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোন পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়নি। ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয় ভীতি দেখা যায় না। সাধারণ মানুষ নিজেদের ইচ্ছায় মাস্ক ব্যবহার না করেই চলছেন। কিন্তু এটা মনে রাখা জরুরী মাস্কই হলো এখন সবচেয়ে বড় প্রতিষেধক। তাই সরকারসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের হাতে মাস্ক তুলে দেয়া জরুরী। বক্তারা বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে হেফাজতে ইসলাম বারবার সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে। তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। মূলত কথা হলো রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে হঠাৎ করেই মাঠে নেমেছে এই হেফাজত। তাদের সাধারণ দৃষ্টিতে দেখার আর কোন সুযোগ নেই। তাই সময় এসেছে তাদের প্রতিহত করার। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এই উগ্রবাদী শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। অন্যথায় দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা সম্ভব হবে না।
×