ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাওড়বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

প্রকাশিত: ২২:১৭, ২৮ নভেম্বর ২০২০

হাওড়বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৭ নবেম্বর ॥ হাওড়াঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘হাওড় বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠনের দাবি করেছেন হাওড়ের বাসিন্দারা। শুক্রবার বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি তুলে ধরেন। ‘হাওড় বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন আন্দোলন ফোরাম’-এর কেন্দ্রীয় কমিটি এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি ইকবাল হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কেশব রঞ্জন সরকার। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ঋতু রঞ্জন দেবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- হাওড় টিভির পরিচালক রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট বিপ্লব মজুমদার, এ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, স্বপন ঠাকুর, সুস্থির সরকার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫২ উপজেলা নিয়ে গঠিত বৃহৎ হাওড়াঞ্চল একটি অবহেলিত, অথচ অফুরন্ত সম্ভাবনাময় জনপদ। দেশে উৎপাদিত ধানের এক পঞ্চমাংশ হাওড়ের জেলাগুলো থেকে উৎপন্ন হয়। এছাড়া রয়েছে মিঠাপানির মাছ, কয়লা ও পাথরসহ বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ। পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রেও হাওড়াঞ্চলের রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও যোগাযোগ প্রভৃতি সব ক্ষেত্রে এ অঞ্চলটি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাওড় উন্নয়ন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৫ আগস্টের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিনেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে ‘বাংলাদেশ হাওড় উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। ১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকারের আদেশে এ প্রতিষ্ঠানটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০০০ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় আবার ‘বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত একটি অধিদফতর হিসেবে কাজ করে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও হাওড়ের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনে কাক্সিক্ষত উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তাই হাওড়াঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়নে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তারা।
×