ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে হাত-পা বেঁধে কিশোরী ও মুন্সীগঞ্জে নারী ধর্ষিত

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৮ নভেম্বর ২০২০

যশোরে হাত-পা বেঁধে কিশোরী ও মুন্সীগঞ্জে নারী ধর্ষিত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যশোরের মনিরামপুরে হাত-পা বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। এ ঘটনার পর কিশোরীর খালা বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে কৃষিকাজ করতে আসা এক শ্রমিক এবং সিরাজদিখানে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করেছে এক সন্তানের জনক সুজন হাওলাদার। যুবতী অন্তঃসত্ত্বা হলে সুজন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। অন্যদিকে বরিশালের উজিরপুরে ধর্ষণ চেষ্টাকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাহসিকতায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত মাহেন্দ্রা চালককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও সংবাদদাতার পাঠানো। যশোরের মণিরামপুরে হাত-পা বেঁধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ভুক্তভোগী কিশোরীর খালা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের ঘরজামাই অভিযুক্ত মোমিনুর রহমান (৩২) এবং বাবু হোসেনকে (৩০) এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানায়, এড়েন্দা গ্রামের স্বামী পরিত্যক্ত এক ইটভাঁটি শ্রমিকের কিশোরী মেয়ে সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে যশোরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে কিশোরীর সঙ্গে দেখা হয় ওই গ্রামের ঘরজামাই মোমিনুর ও বাবুর। এ সময় মোমিনুর ও বাবু তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে এড়েন্দা গ্রামের একটি কলাবাগানে নিয়ে ওড়না দিয়ে কিশোরীর হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। রাতে ওই কিশোরী বাড়িতে ফিরে তার খালার কাছে ঘটনাটি জানায়। পরে কিশোরীর অভিভাবকরা বুধবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করতে যান। কিন্ত ঘটনাস্থল মণিরামপুর হওয়ায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ বিষয়টি মণিরামপুর থানা পুলিশকে অবহিত করে। ওই রাতেই মণিরামপুর থানা পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে শুক্রবার কিশোরীর খালা ঘরজামাই মোমিনুর ও বাবুর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মুন্সীগঞ্জ ॥ টঙ্গীবাড়িতে আলু রোপণের কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসা নারী শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। উপজেলার যশলং ইউনিয়নের বায়হাল গ্রামের মোসলেম সর্দারের ফাঁকা বাড়িতে পলিথিনের কাগজ দিয়ে টং বানিয়ে সেখানে বসবাসরত ছিল নেত্রকোনার ওই নারী ও তার ১৩ বছরের সন্তান। ধর্ষণের শিকার এ নারী জানান, বুধবার রাত ২ টায় স্থানীয় যশলং ইউনিয়নের বায়হাল গ্রামের আমির হোসেন মাদবরের ছেলে আসিব আমার টং ঘরের পলিথিন কেটে প্রবেশ করে আমাকেসহ আমার সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় স্থানীয় মৃত হাসেম হালদারের ছেলে আরশাদ আমার মুখ চেপে ধরে ভয় দেখায়। পরবর্তীতে আমি চিৎকার দিলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। টঙ্গীবাড়ি থানার পুলিশ জানায়, নেত্রকোনা থেকে কৃষিকাজ করতে আসা এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, জেলার সিরাজদিখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে ২০ বছরের যুবতীকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা করেছে এক সন্তানের জনক সুজন হাওলাদার। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামে। ধর্ষণের শিকার যুবতী জানান, সুজন হাওলাদার আমার সঙ্গে দেড় বছর ধরে প্রেম করছে। সে আমাকে বিয়ে করবে বলে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে নিয়মিত। এখন উভয় পরিবারের সবাই জানলে ও আমাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। আমি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এই বাচ্চা নিয়া কোথায় যামু। সিরাজদিখান থানার পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। বরিশাল ॥ গৃহবধূর সাহসিকতায় ধর্ষণচেষ্টাকারী থ্রি-হুইলার (মাহেন্দ্রা) চালককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় অপর আরেকজনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনাটি জেলার উজিরপুর উপজেলা সদরের।
×