ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্যানডেমিক মোকাবেলায় ত্বরিত গতিতে কাজ চলছে

প্রকাশিত: ২১:৫০, ২৮ নভেম্বর ২০২০

প্যানডেমিক মোকাবেলায় ত্বরিত গতিতে কাজ চলছে

* ভ্যাকসিনের তরে যেতে হবে অনেক পথ। * ৩য় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করা। ভ্যাকসিনের ইফিকেসি পরীক্ষা করা। * ভ্যাকসিনের দৌড়ে যে দুটি এগিয়ে তারা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে এ্যান্টিবডি তৈরি করবে। * করোনাভাইরাস তার স্পাইক দিয়ে শ্বাসনালীর সঙ্গে লেগে যায়। শ্বাসনালীতে ক্ষত সৃষ্টি করে রোগ তৈরি করে। সুতরাং স্পাইককে ধ্বংস করতে পারলে করোনা ধ্বংস করা যাবে। * একাজে ব্যবহার করা হবে এডিনো ভাইরাস নামক আর একটি ভাইরাসকে, যা কিনা অল্প ইনফেকশন ঘটাতে সক্ষম। * এক ডোজে কাক্সিক্ষত ইফিকেসি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সুতরাং কয়েকটি ডোজ লাগবে। লাগবে বুস্টার ডোজ। * ভাল হতো যদি জীবন্ত অথচ অল্প সক্রিয় করোনাভাইরাসকে ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করা যেত। * কিন্তু যে ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সীমিত তাকে জীবন্ত ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। * সুতরাং এখন এ্যান্টি স্পাইক ভ্যাকসিনের দিকে যেতে হচ্ছে। তবে এর ইফিকেসি আরও ৪টি ফ্যাক্টর যেমন বয়স, সেক্স, জেনেটিক মেকআপ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করতে হবে। * আবার এগুলো প্রস্তুত করার অনুমোদন পেলে এগুলোকে ইমব্রায়োনিক কিডনি সেলে তৈরি করতে হবে। * ভ্যাকসিনের বায়ো রিএ্যাক্টর হিসেবে লাগবে তামাক। সুতরাং তামাক উৎপাদনের জন্য দেশে দেশে অনুমতি মিলতে হবে। * তারপর ভ্যাকসিনের সামাজিক বিতরণও অনেক ঝামেলাব্যঞ্জক। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের দিকে লক্ষ্য রেখে এগোতে হবে। * প্রস্তুত করার পর গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে একটা নির্দিষ্ট কোল্ড চেইন মেনে চলতে হবে। ২৫% ভ্যাকসিন নষ্ট হবে শুধু কোল্ড চেইন রক্ষা করার অভাবে। * ত্বরিত গতিতে কাজ চলছে প্যানডেমিক মোকাবেলা করার জন্য। * তবু এত ত্বরিত করা ঠিক হবে না যাতে মূল ভ্যাকসিনের যুদ্ধ করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে। * আশায় বুক বেঁধে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে । ডাঃ এ টি এম রফিক উজ্জ্বল হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ০১৭১৫২৮৫৫৫৯
×