* ভ্যাকসিনের তরে যেতে হবে অনেক পথ।
* ৩য় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করা। ভ্যাকসিনের ইফিকেসি পরীক্ষা করা।
* ভ্যাকসিনের দৌড়ে যে দুটি এগিয়ে তারা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে এ্যান্টিবডি তৈরি করবে।
* করোনাভাইরাস তার স্পাইক দিয়ে শ্বাসনালীর সঙ্গে লেগে যায়। শ্বাসনালীতে ক্ষত সৃষ্টি করে রোগ তৈরি করে। সুতরাং স্পাইককে ধ্বংস করতে পারলে করোনা ধ্বংস করা যাবে।
* একাজে ব্যবহার করা হবে এডিনো ভাইরাস নামক আর একটি ভাইরাসকে, যা কিনা অল্প ইনফেকশন ঘটাতে সক্ষম।
* এক ডোজে কাক্সিক্ষত ইফিকেসি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। সুতরাং কয়েকটি ডোজ লাগবে। লাগবে বুস্টার ডোজ।
* ভাল হতো যদি জীবন্ত অথচ অল্প সক্রিয় করোনাভাইরাসকে ভ্যাকসিন হিসেবে ব্যবহার করা যেত।
* কিন্তু যে ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সীমিত তাকে জীবন্ত ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ।
* সুতরাং এখন এ্যান্টি স্পাইক ভ্যাকসিনের দিকে যেতে হচ্ছে। তবে এর ইফিকেসি আরও ৪টি ফ্যাক্টর যেমন বয়স, সেক্স, জেনেটিক মেকআপ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করতে হবে।
* আবার এগুলো প্রস্তুত করার অনুমোদন পেলে এগুলোকে ইমব্রায়োনিক কিডনি সেলে তৈরি করতে হবে।
* ভ্যাকসিনের বায়ো রিএ্যাক্টর হিসেবে লাগবে তামাক। সুতরাং তামাক উৎপাদনের জন্য দেশে দেশে অনুমতি মিলতে হবে।
* তারপর ভ্যাকসিনের সামাজিক বিতরণও অনেক ঝামেলাব্যঞ্জক। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের দিকে লক্ষ্য রেখে এগোতে হবে।
* প্রস্তুত করার পর গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে একটা নির্দিষ্ট কোল্ড চেইন মেনে চলতে হবে। ২৫% ভ্যাকসিন নষ্ট হবে শুধু কোল্ড চেইন রক্ষা করার অভাবে।
* ত্বরিত গতিতে কাজ চলছে প্যানডেমিক মোকাবেলা করার জন্য।
* তবু এত ত্বরিত করা ঠিক হবে না যাতে মূল ভ্যাকসিনের যুদ্ধ করার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলে।
* আশায় বুক বেঁধে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে ।
ডাঃ এ টি এম রফিক উজ্জ্বল
হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল
০১৭১৫২৮৫৫৫৯
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: