ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলী যাকেরের ইংরেজী কণ্ঠে সত্য পৌঁছেছিল বহির্বিশ্বে

পাকিস্তানের হোল ট্রুথের জবাবে বেতার সাহেবের দ্য নেকেড ট্রুথ

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০২০

পাকিস্তানের হোল ট্রুথের জবাবে বেতার সাহেবের দ্য নেকেড ট্রুথ

মোরসালিন মিজান ॥ বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে আলী যাকেরের যে ভূমিকা, সে তো কারও অজানা নয়। প্রয়াণের পরও মঞ্চ এবং টেলিভিশনের এ অভিনেতাকে নিয়েই বেশি চর্চা হচ্ছে। হওয়ারই কথা। তবে তার আরও একটি পরিচয়, সামনে অতো না আসলেও, বড়। এত বড় যে, বাকি সব অভিজ্ঞতা অবদান ও অর্জনকে ছাপিয়ে যায়। বলছি, একাত্তরের বেতার সাহেবের কথা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এই ‘বেতার সাহেব’ ছিলেন আলী যাকের। বুকে দেশপ্রেম থাকলে কণ্ঠ আর কলম সঙ্গী করেও সুনিপুণ যোদ্ধা হয়ে ওঠা যায়, তিনি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। নাটকের আলোচনার ভিড়ে, আগেই উল্লেখ করেছি, জীবনের এই নিগূঢ় আলোচনা সামনে অতো আসেনি। তবে একাত্তরের মহামূল্যবান স্মৃতিকথা বইয়ে পত্রিকার পাতায়, লিখে গেছেন। সেসব বর্ণনা থেকে একজন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক ও উন্নত সাংস্কৃতিক চেতনার হৃদ্ধ পুরুষকেই খুঁজে পাওয়া যায়। আলী যাকের অসংখ্য মানুষের মতোই একাত্তরে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন। লক্ষ্য ছিল ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে লড়াই করবেন। কিন্তু সময়ের অনিবার্য পরিণতি ও প্রয়োজনে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতারে। যুদ্ধ প্রতিবেদক সংবাদভাষ্য রচয়িতা ও পাঠক হিসেবে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। ইংরেজীটা ভীষণ ভাল জানতেন। এমন একটি ইংরেজী কণ্ঠস্বর সে সময়ের জন্য কত প্রয়োজন ছিল তা আজকের দিনেও অনুমান করা যায়। মূলত বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের দুর্দশার কথা তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই সম্পাদন করেন তিনি। আলী যাকেরের ভাষায় : ‘যখন বুঝতে পারলাম যে, শেষ পর্যন্ত আমি সত্যিকার অর্থেই একজন শব্দসৈনিক হয়ে উঠেছি, আমার পক্ষে অস্ত্র হাতে যুদ্ধে যাওয়া আর সম্ভব নয়, তখন সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করলাম নিজের কাজে। প্রতিদিন আমার মতো এই অধমের কলম দিয়েও বেরিয়ে আসতে লাগল অগ্নিঝরা, ক্ষুরধার রাজনৈতিক ভাষ্য। ছুটে বেড়াতে লাগলাম সংবাদ কিংবা সাক্ষাতকার গ্রহণের কাজে, বাংলাদেশের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত প্রতিটি সেক্টরে। রাতের ঘুম দিনের খাওয়া অনেক সময় উপেক্ষিতই থেকে যেত। তা নিয়ে কোন চিন্তা হয়নি কখনও। মুক্তিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং মুক্তির লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে দ্বিধাহীনভাবে। এই হয়ে গিয়েছিল মূলমন্ত্র।’ আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টর ঘুরে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতেন। নিজের কণ্ঠে তা রেকর্ড করতেন। সরেজমিন অনুসন্ধান তুলে ধরা হতো স্বাধীন বাংলা বেতারে। ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি যান ৯ নম্বর সেক্টরে। সেখানে পরিচয় হয় রুস্তম নামের এক কিশোরের সঙ্গে। পাকিস্তানী আক্রমণে পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে সাতক্ষীরার সাবসেক্টরে যোগ দেয় সে। অনেকদিন থাকায় রুস্তমের সঙ্গে ভাল বন্ধুতা গড়ে ওঠে আলী যাকেরের। তার হাতে সবসময় ধরে রাখা রেকর্ডারে কিশোরটিতে নিজের কণ্ঠ ধারণ করার অনুরোধ জানাত। বলত, স্বাধীনতার পর ইংরেজী শিখে সেও সাক্ষাতকার দেবে। এক স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায়, এ ছেলেটিই আলী যাকেরকে নতুন নাম দিয়েছিল- বেতার সাহেব! এই বেতার সাহেব আরও অনেক মুক্তাঞ্চল ঘুরে বেরিয়েছেন। স্বচক্ষে দেখেছেন পাকিস্তানী নিপীড়নের ভয়ঙ্কর চিত্র। তেমন এক অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জীবনী গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, আর যুদ্ধ সংবাদ সংগ্রহ তো ছিল প্রায় নিত্য দিনের কাজ। এ্যাসাইমেন্ট নিয়ে মুক্তাঞ্চল ঘুরে বেরানোর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি লিখেছেন, ‘ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় নানা গ্রামে পরিত্যক্ত বাড়ি ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছি। এর মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। আমি আবার আবেগাহত হয়ে বাড়ির ভেতরে এদিক ওদিক খুঁজেছি কোন একটি আসবাব অথবা ক্ষুদ্র কোন নিদর্শন, যাতে করে ওইসব বাড়িতে যারা থাকত, তাদের সম্বন্ধে কিছু জানতে পারি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যর্থ মনোরথ হয়েছি। আবার মাঝে মধ্যে খুঁজে পেয়েছি একটা ছোট্ট পিতলের ঘটি কিংবা একপাটি খড়ম। একবার খুঁজে পেয়েছিলাম একটা বাচ্চা মেয়ের পরিত্যক্ত খেলার পুতুল।’ সবই ইংরেজীতে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতেন তিনি। জানা যায়, বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের আয়োজন ‘দ্য নেকেড ট্রুথ’ বা নগ্ন সত্য তখন খুব আলোচিত। সে সময় খুন ধর্ষণ লুটপাটের পাশাপাশি পাকিস্তানীরা তাদের রেডিও থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে নির্জলা মিথ্যা প্রচার করত। গোটা দুনিয়াকে বিভ্রান্ত করার কাজে ব্যবহার করত রেডিও পাকিস্তানকে। তাদের ‘হোল ট্রুথ’ নামে একটি অনুষ্ঠানে মিথ্যার বেসাতি হতো। এসবের জবাবেই স্বাধীন বাংলা বেতার শুরু করে ‘দ্য নেকেড ট্রুথ।’ সপ্তাহে দুদিন ‘দ্য নেকেড ট্রুথ’ বা নগ্ন সত্য রচনা ও স্বকণ্ঠে প্রচার করতেন আলী যাকের। কী অদ্ভুত এক ফাইট! আশ্চর্য ফাইটার আলী যাকের। মুক্তিযুদ্ধের সময় রেডিও ছাড়াও নানাভাবে সত্য প্রকাশ করেছেন ধরেছেন তিনি। তখন বিদেশী অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কলকাতা সফরে আসতেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাইতেন। তাদের কাছেও ইংরেজীতে বাংলাদেশের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরতেন আলী যাকের। দুভাষী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার লেখা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের বিখ্যাত বন্ধু মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডিকে নিয়ে সল্টলেকের শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলেন তিনি। তার কাছে সুন্দর ইংরেজীতে বাঙালীর দুঃখ-কষ্ট বর্ণনা করেছিলেন। কে না জানে, পরবর্তীতে পাকিস্তানী নির্যাতন গণহত্যার কথা কেনেডি নিজ দেশে গিয়ে খুব বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে পাকিস্তানবান্ধব নীতি দ্রুত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। একইভাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির সাংসদ জন স্টোনহাউসের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছিলেন। সে অনুভূতির কথা জানিয়ে বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এসব কাজে, বলাই বাহুল্য, প্রচণ্ড আনন্দ পেয়েছি আমি।’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। তাদের দিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনামূলক বক্তৃতা ইংরেজী অনুবাদ করে নিজের কণ্ঠে প্রচার করেছেন। আলী যাকেরের ভাষায় : ‘তখন প্রায় প্রতি মাসে আমাদের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের একটি ভাষণ জাতির উদ্দেশে সম্প্রচার করা হতো আমাদের বেতার থেকে। আমার দায়িত্ব ছিল ওই ভাষণটি ইংরেজীতে অনুবাদ করে তাঁর হয়ে বেতারে পাঠ করা। আমি এই একই কাজ আমাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জন্যও করেছি। এই কাজগুলো ছিল আমার জন্যই বরাদ্দ।’ মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকার ইংরেজী সংবাদপত্র ‘দ্য পিপল’ কলকাতা থেকে প্রকাশিত হতো। জানা যায়, সেখানেও লিখতেন আলী যাকের। তার নেয়া বিদেশীদের সাক্ষাতকার পত্রিকাটিতে গুরুত্ব সহকারে তা ছাপা হতো। এভাবে পত্রিকায় লিখেও সত্য প্রকাশ করতেন তিনি। আলী যাকের একই সময়ে আরও একটি বড় ইতিহাসের অংশ হয়েছিলেন। জহির রায়হানের ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইডে’ তার ইংরেজী কণ্ঠ ব্যবহৃত হয়। সব মিলিয়ে একাত্তরে অর্থপূর্ণ মহাব্যস্ত এক জীবন কাটিয়েছেন আলী যাকের। তাকে এত ছুটতে হতো যে, নাওয়া খাওয়ার কথাও ভুলে যেতেন। পরবর্তীতে জীবনী গ্রন্থে তিনি লিখেছেন, ‘ভাবতে অবাক লাগে যে ঐ তরুণ বয়সে অদম্য ক্ষুধা পেটে সংবরণ করতে কোন কষ্ট পেতে হয়নি। নিজেদের কাজের উত্তেজনা নিয়ে এতই মত্ত থাকতাম আমরা যে খাওয়া, শেষ হলে পরে বোঝতাম যে দীর্ঘদিন প্রায় অভুক্ত কেটেছে আমাদের। দুপুরে ফুটপাথের ধারে শালপাতার ঠোঙায় কাবলি মোটরের তৈরি ঘুগ্নি, যার দাম ৩৫ পয়সাÑ এই ছিল আমাদের লাঞ্চ।’ শব্দসৈনিক আলী যাকের একইসঙ্গে দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিলেন ভীষণ আবেগী। সে সময় ‘বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা’র সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। একবার শরণার্থী শিবিরে শিল্পী সংস্থার গান শোনার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে স্মৃতিকথায় তিনি লিখেছেন : ‘ঐ গানের সুর ও কথা আমার কানে আজও সর্বক্ষণ বাজে। দেশে দেশে ভ্রমি তব দুখ গান গাহিয়ে/নগরে প্রান্তরে বনে বনে। অশ্রু ঝরে দু নয়নে,/ পাষাণ হৃদয় কাঁদে সে কাহিনী শুনিয়ে..। গানটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদয় মথিত করে অশ্রুধারা নেমে এলো আমার দুচোখে। ভাবলাম আর কতদিন, মাগো, তোমার স্বাধীনতার জন্য দেশে দেশে, বনে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াতে হবে আমাদের?’ নিজেরে বিশুদ্ধ আবেগের বহির্প্রকাশ ঘটিয়ে অন্য জায়গায় তিনি লিখেছেন, ‘হঠাৎ খেয়াল হলো, আমি সার্কাস এভিনিউতে বাংলাদেশ মিশনের সামনে দাঁড়িয়ে। তিনতলা বাড়িটার ওপরে পতপত করে সগর্বে উড়ছে বাংলাদেশের পতাকা। দুপুর দুটো তখন। ঝকঝকে রোদে আরও বর্ণময় হয়ে উঠেছে পতাকা। আমার কাছে তুচ্ছ হয়ে যায় সবকিছু। জীবন, মৃত্যু, সখ্য, শত্রু, ভীতি আনন্দ। তাকিয়ে থাকি উড্ডীয়মান ঐ পতাকার দিকে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। গাল বেয়ে অঝোরে নামে অশ্রুধারা। দুহাতে চোখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠি আমি।’ একাত্তরের সমাজ সংস্কৃতির চমৎকার বিশ্লেষণও পাওয়া যায় আলী যাকেরের লেখা থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে মুক্ত হবার মানসে আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মূলত সাংস্কৃতিক স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। এই সংস্কৃতি শব্দটির মধ্যে অঙ্গীভূত ছিল আমাদের জীবনের সকল উপাদান। যেমন- আমাদের ভাষা, আমাদের ধর্ম, লোকাচার, খাদ্য, পরিচ্ছদ, প্রায়োগিক শিল্পকলা এবং একটি জীবনে যা যা প্রয়োজন- সব কিছুই। আজকে একে কেবল স্বাধীনতা যুদ্ধ বললে আমাদের জীবনপণ করা এ সংগ্রামকে অসম্মান করা হয়। কেন না যুদ্ধটি ছিল জাতি হিসেবে আমাদের স্বাতন্ত্রের পূর্ণ মুক্তির।’ স্বাধীন বাংলাদেশেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে রাখতে সচেতন প্রয়াস গ্রহণ করেন আলী যাকের। দেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরটি যারা প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের অন্যতম তিনি। আর নাটকের ভাষায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রচার তো সারাজীবনই করেছেন। তবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজ নিয়ে অনেকের মতো তিনিও কিছুটা হতাশই ছিলেন। এ সম্পর্কে অসাধরণ একটি ব্যাখ্যা পাওয়া যায় তার লেখায়। আলী যাকের লিখেছেন, ‘একটি সচেতন সুশিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী, যারা সমাজের শিক্ষা সংস্কৃতি শিল্পকলার চালিকা শক্তি হবে। আমরা যখন পরাধীন ছিলাম, পাকিস্তানীদের দ্বারা নিরন্তর অত্যাচারিত ছিলাম, তখন এ ধরনের একটি শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণী আমাদের অলক্ষ্যেই সৃষ্টি হয়েছিল। এই শ্রেণীই আমাদের অজান্তে মুক্তিযুদ্ধের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। একটা চেতনা, একটা মূল্যবোধ, একটা আদর্শের জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পরে আমরা আবার দিগ্ভ্রান্ত হয়ে পড়েছি যেন।’ বলার অপেক্ষা রাখে না, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ নিয়ে হতাশা এখনও আছে। নানা সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আজকের বাংলাদেশ। ঠিক তখন আলী যাকেরের মতো এমন দেশপ্রেমী এমন যোদ্ধা আমরা আর কি পাব?
×