ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে আবাসন সঙ্কটে পাউবোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ২০:০০, ২৮ নভেম্বর ২০২০

গোপালগঞ্জে আবাসন সঙ্কটে পাউবোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২৭ নবেম্বর ॥ গোপালগঞ্জে আবাসন সঙ্কটে ভুগছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ দফতরটির অধীনে যেসব আবাসিক ভবন রয়েছে, সেগুলোর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে আগেই। সময়ের পরিবর্তনে জেলার বিভিন্ন দফতরের আবাসিক ভবনগুলোর চিত্র পাল্টালেও এ দফতরটির অবস্থা এখনও সেকেলে। দীর্ঘদিনের পুরনো কোয়ার্টারগুলো একেবারেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই বসবাস করছেন তারা। ১৯৬০ সালে ইরিগেশনের সুবিধার্থে গোপালগঞ্জে পাউবো’র সাব-ডিভিশন অফিস করা হয় এবং তখন এসডিও’র জন্য একতলা ভবনসহ কয়েকটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এরপর ১৯৭৫ সালে সাব-ডিভিশন থেকে ডিভিশনে উন্নীত হলে এসডিও’র বাসভবনটিকেই নির্বাহী প্রকৌশলীর বাসভবন নির্ধারণ করা হয়। সেই থেকে অদ্যাবধি এখানে পাউবো’র কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের আবাসন-ব্যবস্থার আর কোন উন্নয়ন হয়নি। জেলায় তিনটি সাব-ডিভিশনে তিনজন এসডিও দফতরের কাজকর্ম পরিচালনা করছেন। ১৩ জন এসও থাকার কথা; আছেন ৯ জন। কিন্তু তাদের জন্য নেই কোন আবাসন ব্যবস্থা। গোপালগঞ্জ হেডকোয়ার্টারে একটি পরিদর্শন বাংলো থাকলেও নেই কোন অফিসার্স-ডরমেটরি বা স্টাফ-ডরমেটরি। রয়েছে পুরনো একটি টিনশেড; যা সংস্কারের পর সংস্কার করে কর্মকর্তারা বাস করছেন। কাশিয়ানীতে রয়েছে বাউন্ডারি ওয়াল দেয়া এ দফতরের ১০ কাঠার একটি জমি; যেটা ১৫ বছর মামলা চলার পর নিষ্পত্তি হয়েছে। কোটালীপাড়ায় একটি সেকশন অফিস-কাম-বাসা আছে; সেটাও ব্যবহারের অনুপযুক্ত। গোপালগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহী বলেন, গোপালগঞ্জের সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এ দফতরটি পিছিয়ে আছে। দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য পুরনো যেটুকু আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে; তা একেবারেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তিনি মনে করেন, এখানে সরকারী আবাসন-সুবিধা বৃদ্ধি হলে দফতরের কাজকর্ম আরও গতিশীল হবে।
×