ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুবককে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৭ নভেম্বর ২০২০

যুবককে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা, গ্রেফতার ৩

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে যুবককে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে ওই যুবককে হত্যার চেষ্টা করা হয়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান যুবক। তবে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন। বুধবার রাতে শ্যামপুর থানা পুলিশ শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহম্মেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনি (১৮)। তারা সবাই এস আহাম্মেদ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করে। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, গত ৪ নবেম্বর ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন মাজার গেট সংলগ্ন এস আহাম্মেদ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নজেল অপারেটর হিসেবে যোগ দেন রিয়াদ হোসেন (২০)। কাজ শুরুর পর থেকেই তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে গ্রেফতারকৃত ফাহাদ আহম্মেদ পাভেল। এ নিয়ে তাদের ব্যক্তিগত রেষারেষি শুরু হয়। রেষারেষি মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায়। পাভেল উচিত শিক্ষা দিতে মনে মনে পরিকল্পনা করে। পাভেল তার সহযোগী ইমন ও রনির সঙ্গে পরিকল্পনা ভাগাভাগি করে। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪ নবেম্বর ভোর সোয়া চারটার দিকে ফিলিং স্টেশনের স্টাফ রুমে ইমন ও রনি হত্যার উদ্দেশ্যে রিয়াদের গায়ে অকটেন ঢেলে দেয়। এরপর ম্যাচ (দিয়াশলাই) দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সব কিছুই ঘটে ফাহাদের পরিকল্পনায়। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রিয়াদের চিৎকারে ফিলিং স্টেশনের লোকজন ছাড়াও আশপাশের লোকজন সেখানে যায়। তারা দ্রুত রিয়াদের গায়ে লাগিয়ে দেয়া আগুন নিভিয়ে ফেলে। দ্রুত রিয়াদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের ভাষ্য মোতাবেক, আগুনে রিয়াদের হাঁটু থেকে গলা পর্যন্ত শরীরের অধিকাংশ স্থান পুড়ে গেছে। রিয়াদ এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। শ্যামপুর থানা পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় রিয়াদের পিতা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
×